গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নলহাটি-১এর বিএমওএইচ ডাঃ অনঘ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শনিবার আউটডোর করে দু’দিনের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রাখা হল। স্যানিটাইজ করে সোমবার দুপুর ১২টার পর খোলা হবে। সব মিলিয়ে এদিন রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ৪১ জন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সিএমওএইচ-২ ডাঃ স্বপন কুমার ওঝা।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার মধ্যে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি নলহাটি-১ ব্লক এলাকায়। এদিন এই ব্লকে আটজন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন ব্লক হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী।
এছাড়া রয়েছেন একটি গ্রামের বেঙ্গালুরু ফেরত তিন পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্য একটি গ্রামের একজন। নলহাটি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দু’জনের দেহেও ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। ফলে, এই ব্লকের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১০১। বিএমওএইচ বলেন, সেফ হোমে জায়গা অপ্রতুল হওয়ায় এদিনের আক্রান্তদের আপাতত হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমানের দেহরক্ষী ও দুই রেশন ডিলার আক্রান্ত হয়েছেন। বিধায়ক বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্টে দেহরক্ষীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। পরে তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বিএমওএইচের সঙ্গে কথা হয়েছে।
দেহরক্ষীর সংস্পর্শে আসা আমি ও অন্যান্যদের লালারস পরীক্ষা করে দেখা হবে।
অন্যদিকে, রামপুরহাট পুরসভা এলাকার তিন বাসিন্দার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁর মধ্যে দু’জন মাছ ব্যবসায়ী। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য মীনাক্ষী ভকত বলেন, অত্যন্ত সংকীর্ণ জায়গায় ওই মাছের বাজার। আক্রান্তরা শুক্রবার পর্যন্ত ব্যবসা করেছেন। ফলে, কতজন তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন বোঝা দায়। সব্জি ও মাছের বাজার চিন্তা বাড়াচ্ছে। কী করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।
এছাড়া দুবরাজপুরে গত কয়েকদিনে হওয়া বিডিও সহ শতাধিক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রসঙ্গত, বিডিও অফিসের এক কর্মীর ছেলে করোনা আক্রান্ত হন। সেই কর্মী অফিসে এসে কাজ করায় অন্যান্য কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। তার সঙ্গে চিনপাই ও হেতমপুর পঞ্চায়েতেও শতাধিক ব্যক্তির টেস্ট হয়। কিন্তু, প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় স্বস্তি মিলেছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।