কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উম-পুন সাইক্লোনের ক্ষতিপূরণ নিয়ে যাতে কোনওরকম পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে সেজন্য ৬ ও ৭ আগস্ট সাইক্লোনে বিধ্বস্ত সমস্ত জেলায় বিডিও অফিস এবং এসডিও অফিসে ড্রপ বক্সে আবেদন নেওয়া হয়েছে। শুধু ড্রপবক্স নয়, অনলাইনেও আবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে। বিডিও অফিসে যেতে কারও কোনও সমস্যা থাকলে তাঁর সামনে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ ছিল। তাতেই দুই মেদিনীপুর জেলায় মোট সাড়ে চার লক্ষ আবেদন জমা পড়ল। আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে সমস্ত আবেদনকারীর বাড়ি ইন্সপেকশন করে তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। সেইমতো তৎপরতা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাড়ি বাড়ি ইন্সপেকশন শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আজ, রবিবার থেকে ওই কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ১৪ আগস্ট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব আবেদন বাতিল হবে তারও কারণ জানাতে হবে রাজ্যকে। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী অতিরিক্ত ফান্ড চাওয়া হবে রাজ্যের কাছে। এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লক ও পাঁচটি পুরসভা এলাকায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের নজরদারিতে জোরকদমে ইন্সপেকশন চলছে। একজনও ক্ষতিগ্রস্ত থেকে ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত না হন সেটা নিশ্চিত করতে হবে বলে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ।
উম-পুন সাইক্লোনে ক্ষতিপূরণ বাবদ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৯৮ কোটি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও ৭০ কোটি টাকা এসেছিল। ইতিমধ্যে ২৬৪ কোটি টাকা বিলির কাজ শেষ। এসডিআরএফের খুব বেশি ফান্ড জেলা প্রশাসনের হাতে নেই। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দেখেই প্রয়োজনীয় অর্থ চাওয়া হবে। জেলাশাসক বলেন, দু’দিনে দু’লক্ষ আবেদনপত্র ড্রপবক্সে জমা পড়েছে। পাশাপাশি ইন্সপেকশন শুরু হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সবংয়ে সবচেয়ে বেশি ৫২ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। গত ২০মে সাইক্লোনে জেলার সবং, পিংলা, দাঁতন-১ ও ২, মোহনপুর ও নারায়ণগড় প্রভৃতি ব্লক এলাকায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। অতিরিক্ত জেলাশাসক(পঞ্চায়েত) প্রতিমা দাস বলেন, আড়াই লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। বিডিও অফিস থেকেই আবেদনকারীদের বাড়ি ইন্সপেকশন করা হবে। ১২ তারিখের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তারপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুই জেলায় সাড়ে চার লক্ষ বাড়ি ইন্সপেকশন করতে হবে। ক্ষতিপূরণ পাওয়া কোনও পরিবারের অপর সদস্য আবেদন করেছেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া ক্ষতিপূরণের জন্য এপর্যন্ত জমা পড়া যেসব আবেদন বাতিল হয়েছে তার তালিকা সমেত বাতিলের কারণও জানাতে হবে রাজ্যকে। আপাতত সাইক্লোনের কাজেই ব্যস্ত দুই মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। আগামী ১৭-১৮ আগস্ট নাগাদ ড্রপবক্সে আবেদনকারীদের মধ্যে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।