কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জুলাই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ওই চিকিৎসক রেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৫ জুলাই রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ওই চিকিৎসক কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ২৭ তারিখ তিনি করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। বাড়ি ফিরে হোম আইসোলেশনে ছিলেন। ওই চিকিৎসক জানান, সুস্থ হওয়ার পর মনের ধন্দ মেটাতেই গত ৪ আগস্ট করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছিলাম। আরটিপিআরের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে এদিন র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সোমবার আমি কাজে যোগ দেব। ডেপুটি সিএমওএইচ-১ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ঠিকমতো নমুনা সংগ্রহ করা না হলে অনেকে সময় রিপোর্ট এরকম আসতে পারে। উনি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
খড়্গপুরের ওই চিকিৎসক ছাড়া জেলায় নতুন করে ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়ায় একই পরিবারের চারজন ও সদর ব্লকে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। সবং ব্লকের বিষ্ণুপুর এলাকায় ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ় গত বুধবার মারা যান। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়া এই ব্লকের আরও চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। খড়্গপুরের মধুরকাঠি এলাকায় এক বছরের শিশু সহ তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় খড়্গপুরের ৩৭ বছরের এক আরপিএফ কর্মী রয়েছেন। মালঞ্চ এলাকায় ৬২ বছরের এক বৃদ্ধা আক্রান্ত হয়েছেন।
খড়্গপুর নর্দান সাইডে এক মহিলা সহ দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। বিদ্যাসাগরপুর আর জৈননগর এলাকায় দুই বৃদ্ধের করোনা ধরা পড়েছে। ছোট আইমা এলাকায় ১৭ বছরের এক কিশোর আক্রান্ত হয়েছেন। নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় দু’জন, ইন্দা, প্রেমবাজার, দেবলপুর এবং সালুয়ায় একজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া শ্যামেশ্বরপুরে ৬৮ বছরের বৃদ্ধা সহ দু’জনের করোনা ধরা পড়েছে। পূর্ব শ্রীকৃষ্ণপুরে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। দাঁতনের জোড়াগেরিয়া ফাঁড়ির হোমগার্ড আক্রান্ত হয়েছেন। কেশিয়াড়ির কাঁদরামারি, কুসুমপুর এলাকায় দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। কাজলা এলাকায় এক মহিলা সহ দু’জনের করোনা ধরা পড়েছে। গড়বেতা-৩ ব্লকের বিলা সাতবাঁকুড়া এলাকায় একই পরিবারে ৩৫ বছরের এক মহিলা সহ পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিবারে প্রথমে একজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে, পরিবারের অন্যান্যদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুক্রবার তাঁদের সকলকে শালবনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গড়বেতা-১ ব্লকের আমলাগোড়া এলাকায় ২১ বছরের এক যুবতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দাসপুর-১ ব্লকের সূর্যনগর এলাকায় একই পরিবারে ৭ বছরের কিশোরী সহ তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাটাল ব্লকের থাবাপুর, চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের কল্লা এবং ঘাটাল শহরের কুশপাতা এলাকায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।