কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এব্যাপারে আরামবাগ মহকুমা সেচদপ্তরের আধিকারিক শ্রীকান্ত পাল বলেন, দ্রুত ওই এলাকার ব্রিজের গার্ডওয়ালের ধস আটকাতে শালবল্লা দিয়ে পাড় বাঁধানো হবে। লকডাউনের কারণে সেই কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের দপ্তরের পক্ষ থেকে কোনও রায়ত জমির মাটি কাটা হয়নি। যাঁরা এখন অভিযোগ করছেন, খাল সংস্কারের সময় তাঁরা বাধা দেননি। কাজ চলাকালীন তাঁদের আপত্তি জানানো উচিত ছিল। আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাড়া বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। দ্রুত যাতে সমস্যা সমাধান করা যায়, তার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের মোদকপুর এলাকা থেকে ওই খালটি কাবলে, শালালপুর, পিরিজপুর, কাঁটাবনি, প্রতাপনগর হয়ে দু’দিকে দু’টি শাখা খালে বিভক্ত হয়েছে। তার মধ্যে একটি গিয়েছে চকভেদিয়া ও অপরটি গিয়েছে হেলানের দিকে। গত বৈশাখ মাসে খাল সংস্কারের কাজ শুরু করে সেচদপ্তর। কাঁটাবনি এলাকায় একাংশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, খাল সংস্কারের সময় কোনও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। এমনকী রাতের অন্ধকারেও কাজ হয়েছে। সংস্কারের কাজ হয়েছে নিম্নমানের। পলি সংস্কারের নামে খালের দু’দিকের মাটি অপরিকল্পিতভাবে কাটা হয়েছে। আর তার জেরেই সামান্য বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে কাবলে থেকে হিয়াতপুর যাওয়ার পিচরাস্তার একাংশ।
স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, খালটি আগে পূর্ব দিকে প্রায় ২০০ ফুট দূর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে মজে গিয়ে ওই খালের পথ পরিবর্তন হয়েছে। লক্ষ্মণ সামন্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খালের মাটি কাটার কারণে আমার দোতলা পাকাবাড়ির ভিতের মাটি ধসে গিয়েছে। যে কোনও সময় বাড়ি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চরম আতঙ্কে এখন দিন কাটাতে হচ্ছে। ওই এলাকাতেই রয়েছে খালের পূর্ব-পশ্চিম পাড়ের সংযোগকারী একটি কংক্রিটের সেতু। সেতুটি এলাকার বাসিন্দারা চাঁদা তুলে বছর দু’য়েক আগে তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, তারও গার্ডওয়াল এখন খালের গহ্বরে চলে গিয়েছে। তাই জীবন হাতে নিয়ে বিপদগ্রস্ত সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সামন্ত পাড়া, পণ্ডিতপাড়া ও রায়পাড়ার বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র