কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা সংখ্যালঘু দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবছর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩৪০০ জন সদস্যকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গোষ্ঠীতে দশ বা কুড়িজন মহিলা সদস্য থাকতে হবে। সেই গোষ্ঠীর মধ্যে ৬০ শতাংশ সদস্যকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলা হতে হবে। তবেই, সেই গোষ্ঠীর সব সদস্যই ঋণের টাকা পাবেন। প্রথমে গোষ্ঠীর সদস্যদের মাথাপিছু ১৮ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়। পরে, সেই টাকা সময়মতো সুদসহ জমা করলে পরবর্তী সময়ে আরও ঋণ দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে ঋণের অঙ্ক বাড়তে থাকে। সুদের হার ৭ শতাংশ।
সুদের হার কম হওয়ায় বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য এই ঋণ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। গত আর্থিক বছরে এই জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩৪০০জন সদস্যকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ঋণ নিয়েছিলেন ৩৯৯২ জন।
ছোট উদ্যোগপতিদের জন্য ঋণের পরিমাণ কিছুটা বেশি। ছোট ব্যবসা করার জন্য ঋণ দেওয়া শুরু ৪০ হাজার টাকা। সময়মতো টাকা শোধ দিলে সেই ব্যবসায়ী ধাপে ধাপে ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। তবে, তাঁর ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। এবার জেলায় ৪০০ জন সংখ্যালঘু ছোট উদ্যোগীকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪০ হাজার টাকার বেশি ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে একজন সরকারি কর্মচারীকে ওই উদ্যোগীর ব্যাঙ্ক গ্যারেন্টার হতে হবে। তবে, ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করে দেওয়ার রেকর্ড ভালো থাকলে তাঁর জন্য আর গ্যারেন্টারের প্রয়োজন হয় না। একবার ঋণ নেওয়ার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত টাকা শোধ করার সময় থাকে। সুদের হার ৬ শতাংশ। সুদের হার কম হওয়ায় ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেশ ভালোই। সেই কারণেই ছাপিয়ে যায় লক্ষ্যমাত্রা। এই প্রকল্পে গত বছর ৪৩০ জন ঋণ নিয়েছিলেন।
কেশপুরের শেখ তালেবুল্লা বলেন, আমার একসময় খুব ছোট ব্যবসা ছিল। এই দপ্তর থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। তাতে ব্যবসা একটু বড় করেছিলাম। সময়মতো ঋণ শোধ করে একাধিকবার ঋণ নিয়েছি। গতবারও ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নতুন কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছি। ভালোই ব্যবসা চলছিল। লকডাউনের আগে পর্যন্ত কোনও অসুবিধা হয়নি। এখন কিছুটা মন্দা চলছে। আগে আমার অ্যাসবেস্টসের বাড়ি ছিল। এই ব্যবসা করেই দোতলা পাকা বাড়ি করেছি। সরকারের কাছ সহজ শর্তে ঋণ না পেলে এসব কিছুতেই সম্ভব হতো না। প্রতীকী চিত্র