কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন শহরে বৃষ্টির জেরে বেশ কয়েকটি রাস্তায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। পুরসভার মোড়, টেলিফোন ময়দান, মাধবীতলা রোডে জমা জল পেরিয়ে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। বেশকিছু ওয়ার্ডের নিকাশি নালাগুলি জলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শহরবাসী যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, তারজন্য পুরসভার কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
প্রাচীন এই শহরের গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে অজয় ও ভাগীরথী। কয়েকদিন আগে দুই নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল। তাই নতুন করে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় জল বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নদীর বাঁধগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন পুরকর্মীরা।
এবিষয়ে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা সবসময় প্রস্তুত রয়েছি। পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। যে কোনও বাসিন্দা দুর্যোগের মধ্যে পড়লেই আমরা উদ্ধার করব। পাশাপাশি বাঁধগুলি দেখাশোনা করা হচ্ছে।
এদিন মহকুমার বিভিন্ন ব্লক এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। কেতুগ্রাম-১ ব্লকের আমগড়িয়ায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ও হয়। তার জেরে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট প্রভৃতি এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। মঙ্গলকোটের কুনুর নদীতে আগে থেকেই জল বেড়েছিল। এদিন থেকে প্রবল বৃষ্টির জন্য জলস্তর আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভারুই বলেন, ব্লকে আপদকালীন সমস্ত কিছু তৈরি রাখা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সদ্য রোয়া আমনের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
কেতুগ্রাম-২ ব্লকের বেশির ভাগ এলাকা নিচু। সেক্ষেত্রে ওইসব এলাকায় জমিতে ধানের চারা ডুবে যেতে পারে বলে মনে করছেন চাষিরা। তাঁরা বলেন, কিছুদিন আগেই জলের জন্য কেতুগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছিল। ভুরকুরি, ছোট পুরুলিয়া, গঙ্গাটিকুরি, কেতুগ্রাম প্রভৃতি এলাকার কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, জল নেমে যাওয়ায় আমনের চারা রোয়া হয়েছে। ফের বৃষ্টি হলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এবছর ট্রেন বন্ধ থাকায় ও করোনার জন্য খুবই কম শ্রমিক দিয়ে কাজ হয়েছে। তাছাড়া এর আগে লাগাতার বৃষ্টির জেরে কাটোয়া-২ ব্লকের ব্রহ্মাণী নদী ছাপিয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ, মুস্থলী, পাঁচবেড়িয়া, শ্রীবাটি পঞ্চায়েতের চাণ্ডুলি সহ বেশ কয়েকটি এলাকার চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে যায়। ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এইসব এলাকার চাষিরাও আতঙ্কে রয়েছেন।