দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ইলামবাজার থানার নানাশোল পঞ্চায়েতের জালালনগর গ্রামে মঙ্গলবার সকালে দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে জোরালো বিস্ফোরণ হয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে মজুত করে রাখা বোমায় এই বিস্ফোরণ হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত বাড়িটির মালিকের নাম কাসেম আলি। তিনি দীর্ঘদিন আগেই মারা গিয়েছেন। পরে তাঁর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সন্তানরা অন্যত্র চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। মঙ্গলবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা হঠাৎ ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, বাড়িটির দেওয়াল সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। আশপাশের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তার সঙ্গে ইটের টুকরোগুলি ৩০-৪০ফুট পর্যন্ত ছিটকে পড়ে।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এই বোমা মজুত করেছিল তা নিয়ে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই ইলামবাজার থানার ধরমপুর পঞ্চায়েতের শুনমুনি গ্রামে একটি পরিত্যক্ত পাম্পঘরে মজুত করা বোমা বিস্ফোরণ হয়। ইলামবাজার থানা এলাকায় বার বার বিস্ফোরণ হওয়ার ফলে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী হুমেরা বিবি, শেখ বদরুল বলেন, সকালে উঠে বাড়ির কাজকর্ম করছিলাম। তখন জোরালো বিস্ফোরণের আওয়াজ পাই। বাড়ির পাশেই বিস্ফোরণ হওয়ায় প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। জেলার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আগামী দিনে পরিত্যক্ত বাড়িগুলিতে তল্লাশি চালানো হবে।
অন্যদিকে, এদিন নানুর থানার কীর্ণাহার-২ পঞ্চায়েতের সরডাঙা গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। মূলত এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়েই এই সংঘর্ষ। এই ঘটনায় বাবর শেখ নামে একজন আহত হন। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও নানুর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার পিছনে গ্রাম্য বিবাদকেই দায়ী করেছেন। নানুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, এটি সম্পূর্ণ গ্রাম্য বিবাদ। দল বা রাজনীতি কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুলিস তদন্ত করছে।