দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
৩ আগস্ট পর্যন্ত গোটা পূর্ব বর্ধমানে ১০৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জুলাই মাসেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৪ জন। বর্ধমান শহরে জুলাইয়ে ১৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ৩ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় ২৩ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই বর্ধমান শহরের। মৃত ২৩ জনের মধ্যে জুলাই মাসেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি আগস্ট মাসে আক্রান্তের গ্রাফ দেখে স্বাস্থ্যদপ্তরের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। কারণ, ১ আগস্ট জেলায় ১২১ জন, ২ আগস্ট ৫৭ এবং ৩ আগস্ট ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জুলাইয়ের পর আগস্টে বর্ধমান শহরেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ১ আগস্ট বর্ধমান শহরে ১০ জন, ২ আগস্ট ২৯ এবং ৩ আগস্ট ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
জুলাইয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ধমান শহরে সাতদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়েছে। কালনা, কাটোয়া ও মেমারি পুরসভা সহ জেলার ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও তিনদিনের লকডাউন করা হয়েছিল। ফের বর্ধমান শহর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের পথেই হাঁটতে চাইছে প্রশাসন। তবে, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত লকডাউনের চূড়ান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ না হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও দো-টানার মধ্যে রয়েছেন। বর্ধমান জেলার ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক বিশ্বেশ্বর চৌধুরী বলেন, সংক্রমণ রুখতে লকডাউন করা হবে বলে আমরাও শুনেছি। কিন্তু, বর্ধমান শহরে সাতদিন লকডাউন করলে লাভ হবে না। গোটা জেলায় করতে হবে। লকডাউনে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত বাস চলাচলও বন্ধ রাখতে হবে। তবে, লকডাউন নিয়ে আগে থেকে ঘোষণা না করলে মিষ্টি ব্যবসায়ী সহ অনেকে লোকসানের মুখে পড়বেন।
গত ২ আগস্ট পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছিলেন, ৫ আগস্ট থেকে সাতদিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার তিনি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করেন। এদিনও তিনি লকডাউন নিয়ে বলেন, বর্ধমান শহর সহ পাঁচ পুরসভা ও আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সাতদিনের জন্য লকডাউন করার কথা ভাবছি। আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনাও করছি। বুধবার সন্ধ্যায় লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, বর্ধমান শহরে কেবলমাত্র একটি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে পুরসভার সব ওয়ার্ডেই করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। শহরে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে আমরা জানতে পারছি। আক্রান্তদের ‘কেস হিস্ট্রি’তে দেখা গিয়েছে, অনেকের ট্রাভেল হিস্ট্রি আছে। কিন্তু, অনেকেরই নেই। তাঁরা শহরের বাজার থেকেই সংক্রামিত হয়েছেন। তাই সংক্রমণ রুখতে আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) রজত নন্দা বলেন, র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টও বাড়ানোর নির্দেশ এসেছে। জেলার কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকা এবং ‘সারি’ (সিভিয়র অ্যাকুইট রেসপিরেটরি ইনফেকশন) রোগীদের মধ্যে এই টেস্ট বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে গোটা জেলাতেই করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে।