গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
একে তো মানুষ করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায়। তার ওপর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে যদি মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ে, তাহলে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ডিভিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবহাওয়া দপ্তর ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে ১২ ঘণ্টা আগে বন্যা সর্তকতা জারি করে আমরা মঙ্গলবার থেকে জল ছাড়া শুরু করেছি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণের উপর পরবর্তী জল ছাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
বিগত দু'বছর বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলায় বর্ষাকালে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর যথেষ্ট উপরে রয়েছে। এবছর মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হলে ডিভিসি যে ব্যাপক পরিমাণ জল ছাড়বে তার পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি হতেই ডিভিসি জল ছাড়া শুরু করে দিল।
জানা গিয়েছে, মাইথন জলাধারে বর্তমানে ৪৭৫.৪ ফুট জল রয়েছে। এর বিপদসীমা ৪৯৫ ফুট। অন্যদিকে পাঞ্চেতে বর্তমানে জল রয়েছে ৪০৬.৭ ফুট। এর বিপদসীমার ৪২৫ ফুট। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, দুটি জলাধারেই জলস্তর বিপদসীমায় পৌঁছাতে খুব বেশি দেরি নেই। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ খুব বেশি ঝুঁকি নেওয়ার অবস্থায় নেই। তাই অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস পেতেই তারা জল ছাড়া শুরু করে দিয়েছে।
এদিন মাইথনের ছটি গেট দিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে। মাইথন থেকে মোট ১৫ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে মোট ১১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে, যা জমা হবে দুর্গাপুর ব্যারেজ এলাকায়। তবে একথাও জানানো হয়েছে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে যথারীতি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়বে। মঙ্গলবারই ডিভিসির ক্যানেল থেকে জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছিল দুর্গাপুরের বেশকিছু অংশ। এবার আরও বেশি মাত্রায় জল আসছে নদীতে। কী পরিস্থিতি হয় সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন।
ডিভিসির দাবি, রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সব রকম সমন্বয় রেখেই জল ছাড়ার কাজ করা হচ্ছে। জল ছাড়ার ১২ ঘণ্টা আগে সোমবার বিকেলেই রাজ্যকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা এই সংস্থার বক্তব্য, মাইথন ও পাঞ্চেত মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়লে রাজ্য সরকারকে ফ্লাড ওয়ার্নিং দিতে হয়। জল ছাড়ার ১২ ঘণ্টা আগে এই সর্তকতা দেওয়ার নিয়ম, যাতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে রাখতে পারে। ফ্লাড ওয়ার্নিং মাত্রা থেকেও মঙ্গলবার বেশি পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে।