কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
টেস্টে জোর দিতেই রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তার মধ্যে রামপুরহাট-১ ব্লকের চাকাইপুর গ্রামের এক বৃদ্ধ রয়েছেন। এতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান এই গ্রাম করোনামুক্ত ছিল। স্বভাবতই গ্রামের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিডিও দীপান্বিতা বর্মন বলেন, চাকাইপুর গ্রামে এই প্রথম কেউ করোনা আক্রান্ত হলেন। তিনি কীভাবে সংক্রামিত হলেন তা দেখা হচ্ছে।
রামপুরহাট-২ ব্লকে সাতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন একই গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, অ্যান্টিজেন টেস্টে তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সকলেই আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি। এছাড়া কয়েকদিন আগে রামপুরহাট কোভিড হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট শহরে। দু’দিন আগে মৃতের পরিবারের তিন সদস্যর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিন ওই পরিবারের আরও একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে রামপুরহাট কোভিড হাসপাতালে ভর্তি থাকা একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগী সোমবার উপসর্গ নিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানেই তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাকি আক্রান্তরা নলহাটি-২ ও ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের বাসিন্দা। তাঁরাও কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলায় স্বাস্থ্য জেলার একমাত্র সেফ হোমে শয্যা সংখ্যা অপ্রতুল হয়ে পড়ছে। এব্যাপারে স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-১ ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের বাড়িতে আলাদা করে থাকার পরিকাঠামো রয়েছে, তাঁদের সেখানেই থাকার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাকিদের সেফ হোমে পাঠানো হচ্ছে।
এবার জেলা সংশোধনাগারেও করোনা থাবা বসিয়েছে। সেখানে বহু বন্দি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবারও সেখানকার অন্য বন্দিদের পরীক্ষা করানো হয়। এদিন সিউড়িতে বীরভূম জেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও করোনা টেস্ট করতে নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলাশাসক জানিয়েছেন, সংশোধনাগারে করোনা আক্রান্তরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিএমওএইচকে বলা হয়েছে। তাছাড়া সংশোধনাগারে আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, সংশোধনাগারে অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়ার আগেই যাতে করোনা পরীক্ষা করানো হয় এবং সংশোধনাগারে সই করাতে মুহুরিদের যাওয়া রুখতে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে এদিন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।