পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামণির সঙ্গে সাত বছর আগে পেশায় ট্রাক্টর চালক সুনীলের বিয়ে হয়। কিন্তু তাঁদের প্রেমের বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবারের লোকজন। তাই তাঁরা গ্রামেই আলাদা জায়গায় বসবাস শুরু করেন। তাঁদের একটি চার বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। সোনামণি বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এদিন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে জঙ্গলে সোনামণির নলিকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা।
মৃতার ভাই রবিন মুর্মু বলেন, দিদির সঙ্গে প্রায়ই জামাইবাবু অশান্তি করত। এমনকী মাঝেমধ্যে মারধরও করত। জামাইবাবু কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে দিদিকে খুন করেছে। আমরা জামাইবাবুর কঠোর শাস্তি চাই। দুপুরবেলায় ওই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় কেউ থাকে না। সেই সময় খুন করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে মাঠ থেকে গোরু নিয়ে ফেরার সময় গ্রামের কয়েকজন দিদির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মনির হোসেন মোল্লা বলেন, খুব মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করা হবে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি (কাঁকসা) শাশ্বতী শ্বেতা সামন্ত বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই মহিলার স্বামী খুন করেছে বলে বাপেরবাড়ির লোকজন দাবি করেছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।