গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাস থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোয়াব টেস্ট শুরু হয়েছে। তার আগে জেলায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হতো। মার্চ মাস থেকে গত ২ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় ৪৩ হাজার ৯৯৮ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ৬৭০ জনের। এর মধ্যে ১০০৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গত ৩০ জুলাই থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হয়েছে। সেখানে সোয়াব টেস্টও চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পেতে দুই থেকে তিনদিন লাগে। কিন্তু, র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই রিপোর্ট জানা যায়। ফলে, আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। যা সংক্রমণ রুখতে খুবই প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাও সম্ভব হবে। তাই সোয়াবের সঙ্গে এই র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
বর্ধমান শহর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সোয়াব সংগ্রহ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কিন্তু, সব জায়গা থেকে নমুনা পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যালে। একমাত্র এখানেই করোনার পরীক্ষা হয়। জেলায় দ্বিতীয় কোনও পরীক্ষার জায়গা নেই। এখানে সারাদিনে গড়ে ৬০০-৭০০ বেশি সোয়াব পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। ফলে, সংক্রমণ ছড়ালেও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না। ২৩টি ব্লকে র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হয়ে গেলে পরীক্ষার সংখ্যা একলাফে দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে। জেলার ২৩টি ব্লকে ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তারমধ্যে ৭৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সবচেয়ে বেশি করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ওই পঞ্চায়েত এলাকায় র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বেশি পরিমাণে বাড়ানো হবে।
দ্বিতীয়ত, জেলার বিভিন্ন ফ্লু-ক্লিনিক থেকে উপসর্গযুক্ত রোগীদের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এবার থেকে তাঁদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। ফলে, তাঁরা নমুনা দেওয়ার জায়গায় দাঁড়িয়েই ফলাফল পেয়ে যাবেন। তৃতীয়ত, বর্ধমান মেডিক্যাল সহ মহকুমা হাসপাতালে কোনও অপারেশন হলে বেশিরভাগ রোগীদেরই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারণ, তাঁদের কাছ থেকে চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এবার ওই অপারেশনের রোগীদেরও অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হবে। ফলে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরও রিপোর্ট জানা যাবে। এছাড়াও জেলায় যেখানে যেখানে এই র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো দরকার, সেইসব এলাকার তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) রজত নন্দা বলেন, এখন আমাদের জেলায় প্রতিদিন ৭০০-৮০০ পরীক্ষা হয়। দু’-একদিনের মধ্যেই ২৩টি ব্লকে এই র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হয়ে যাবে। তখন প্রতিদিন দেড় হাজার করে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা অর্থাৎ প্রাইমারি কনট্যাক্টে যতজন পাওয়া যায়, তাঁদের সোয়াব পরীক্ষা করা হয়। এবার প্রাইমারি কনট্যাক্টের সবাইকে র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। ফলে, আমরা দ্রুত আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে পারব।