পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ ব্যাপারে ডেপুটি সিএমওএইচ (৩) কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা জেলার প্রতিটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও র্যাাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করব। কিট বেশি পাওয়া গেলে টেস্টের সংখ্যাও ধীরে ধীরে আরও বাড়ানো হবে।
করোনা সংক্রমণ জেলায় যত বাড়ছে, ততই এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে নানা সমস্যা উঠে আসছে। করোনা রিপোর্ট সময়মতো না আসা নিয়েও ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি প্রথম থেকেই রয়েছে। প্রথমে নমুনা পাঠানো হতো কলকাতায়। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে সময় লাগত। পরে তা দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালেই শুরু হয়। কিন্তু, সেখানেও জটিলতা দেখা দেওয়ায় নমুনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো শুরু হয়। এবার বর্ধমান থেকে রিপোর্ট আসতেও সাতদিনের বেশি সময় লেগে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ফের দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে জেলার নমুনা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এতেও যে খুব দ্রুত ফল মিলছে, তা নয়। রিপোর্ট না আসায় মৃতদেহ সৎকার করা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা চরম সমস্যায় পড়ছিলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা রোগীর চিকিৎসার জন্য রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। ফলে সেই সময় অঘটনও ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় জেলায় শুরু হয় র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।
প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে এই টেস্ট চালু হয়েছে। দুর্গাপুরে তিনদিনে ৫৭টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। তারমধ্যে ৯ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। আসানসোলেও এই টেস্টের মাধ্যমে অনেকের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। তাতে রিপোর্টের জটিলতা কিছুটা কেটেছে। এবার এই আধুনিক প্রযুক্তিই জেলার আটটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু হচ্ছে। কোন হাসপাতালে কতগুলি করে টেস্ট করতে হবে, তার তালিকাও প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ১২০, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৭৫ এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে দিনে ৩০ জনের পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে।