কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। তার জেরে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এরকম একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন দীঘা-শঙ্করপুর এলাকার মৎস্যজীবীরা। এবছর মৎস্যজীবীদের জালে ইলিশ মোটেই উঠছে না। এর কারণ গভীর সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ। সেখানে ট্রলার কিংবা ভুটভুটি রেখে জাল ফেলা বেশ কঠিন। গভীর সমুদ্রে যাওয়া ট্রলার কিংবা ভুটভুটি সাত-আটদিন ধরে মাছ ধরার পর ফিরত। এখন তারা তিন-চারদিন পরেই চলে আসছে। ঢেউয়ের দাপটে টিকতে পারছে না। জালে উঠছে খুব কম ইলিশ। পমফ্রেট এবং অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের জোগান অনেকটাই ভালো।
প্রতি বছর ১৪এপ্রিল থেকে ১৫জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মৎস্য শিকারের ক্ষেত্রে ‘ব্যান পিরিয়ড’ থাকে। ওই সময়ে সমুদ্রে মাছ ধরা যায় না। এবছর লকডাউনের কারণে মার্চের মাঝামাঝি থেকে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারেননি। তিন মাসের বেশি সময় সমুদ্রে মৎস্য শিকার পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তাই এবছর বিপুল পরিমাণ ইলিশ ওঠার আশা করেছিল সব মহল।
মৎস্য আধিকারিকরা এখনও বলছেন, সমুদ্রে যথেষ্ট ইলিশ রয়েছে। কিন্তু, ইলিশ ওঠার অনুকূল আবহাওয়া নেই। যেকারণে ইলিশের খরা চলছে। এদিকে সোমবার আবহাওয়া দপ্তর সতর্কবার্তা জারি করেছে। সমুদ্রে মৎস্য শিকারে থাকা হাজার খানেক ট্রলার ও ভুটভুটি মোহনায় ফেরা শুরু করেছে। ওই সব ট্রলার থেকে কিছু ইলিশ মিলতে পারে বলে দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা আশা করছেন।
দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণবকুমার কর বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার কারণে সমুদ্রে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে আছেন, তাঁদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। অথচ এরকম আবহাওয়াই ইলিশ শিকারের পক্ষে আদর্শ। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা আমাদের মানতেই হবে। তাই সকলকে ফিরতে বলা হয়েছে।
মৎস্য দপ্তরের সহ অধিকর্তা(মেরিন) সুরজিৎ বাগ বলেন, সমুদ্রে ইলিশ রয়েছে। কিন্তু, বড় বড় ঢেউয়ের কারণে মাঝসমুদ্রে ভুটভুটি সেভাবে দাঁড়াতে পারছে না। সেজন্য অল্প সময়ের মধ্যেই মৎস্যজীবীরা সমুদ্র থেকে ফিরে আসছেন। ইলিশ ওঠার মতো ঝিরঝিরে বৃষ্টি এখনও সেভাবে হয়নি। তবে, আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই ইলিশ জালে আসবে।