বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিএসএফের ডিআইজি কুণাল মজুমদার বলেন, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলির তৎপরতা বাড়ছে। সেই খবর আমাদের কাছেও রয়েছে। সবকিছুর উপরেই নজর রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে রাজশাহিতে গোপন বৈঠক চলাকালীন র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান শুকচাঁদ আলি, আব্দুর রাজ্জাক এবং শরিফুল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা তিনজনই জেএমবি-র সক্রিয় সদস্য। তাদের জেরা করে র্যা ব বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। ওই তিনজনকে ছাড়াও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু, তাদের নাম এখনও প্রকাশ্যে আনেনি। তবে, এরাজ্যে জেএমবি এখনই হামলা করতে পারে তেমন কোনও তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে নেই। তারা মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং উত্তর ২৪পরগনায় সংগঠন বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। মুর্শিদাবাদে এই সংগঠনের বহু স্লিপার সেল রয়েছে। বিশেষ করে মুর্শিদবাদের একটি থানা এলাকায় তাদের গতিবিধি বিভিন্ন সংস্থার আধিকারিকদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। যদিও এখন গোয়েন্দারা জেএমবি-র থেকে বেশি চিন্তিত রয়েছে আইএস জঙ্গি সংগঠন নিয়ে। তাদের জন্যই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উৎসবের মরশুমে বাংলাদেশে আইএস হামলা চালাতে পারে বলে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে অনেক আগে খবর এসেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে পুলিসকে সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশের এক নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের পিছনে আইএসের হাত রয়েছে কিনা তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে তাদের স্লিপার সেল আগে থেকেই রয়েছে। হঠাৎ করেই তারা মাথাচড়া দিতে শুরু করেছে। তারজন্য এপারেও নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এক আধিকারিক বলেন, বাংলাদেশে কড়াকড়ি হলে জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে এরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা যাতে এখানে এসে আশ্রয় না পায় তারজন্য সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নদীয়া সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে বিএসএফ রবিবার আটক করেছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে। যদিও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কাজের সন্ধানেই তারা কাঁটাতার পেরিয়েছিল। বিহার, উত্তরপ্রদেশে বেশ কিছু দিন থাকার পর তারা ফের বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তবুও তারা ঠিক বলছে কিনা, সেটা গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে।
এরাজ্যেও গোয়েন্দারা আইএসের লিঙ্ক আগেই পেয়েছে। এক উচ্চশিক্ষিত যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দারা তাকে জেরা করে জানতে পেরেছে, সেনাবাহিনীর থেকে তথ্য হাতানোই তার কাজ ছিল। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ছবি আপলোড করে যুবকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করত। এই সব কারণেই বাংলাদেশ থেকে ইনপুট পাওয়ার পরই গোয়েন্দাদের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে।
এক আধিকারিক বলেন, বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। সেকারণে সেদেশে কোনও কিছু হলে তারা তথ্য দিয়ে থাকে। আবার এদেশে কিছু ঘটলে বা আমাদের কাছে কোনও খবর থাকলে ওদের শেয়ার করা হয়। যে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট, জেএমবি এবং আইএস দু’টি গোষ্ঠীই ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।