গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উত্তমবাবু বলেন, মঙ্গলবার পরিবারের সবাই করোনা পরীক্ষা করিয়েছি। গাড়ির চালকেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়। সবারই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমি দশদিন বাড়ির বাইরে বের হইনি, তাই লোকের সংস্পর্শে আসার কথা ঠিক নয়।
জুলাই মাসের শেষেই পশ্চিম বর্ধমানে করোনা রোগীর সংখ্যা আটশো ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের তালিকায় এসেছেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ থেকে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। কিন্তু এখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি করছে। শাসকদল তৃণমূল কোথাও মাস্ক বিলি, আবার কোথাও খাদ্যসামগ্রী বিলি করছে। বদ্ধ হলঘরে চলছে মিটিং। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও শাসকদলের এই ভূমিকায় অনেকে স্তম্ভিত। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। তারাও বিভিন্ন ইস্যুতে ঘেরাও কর্মসূচি বা মিছিল করছে। সিপিএমও মিছিল ও ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নেতাদের এই ভূমিকায় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, আমরা মানুষের পাশে থাকতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছি। আর বিজেপি রাজনীতি করার জন্য ভিড় করছে। দুটোর পার্থক্য আছে। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, শাসকদল আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করছে। তাদের কর্মসূচি হলে পাল্টা কর্মসূচি আমাদেরও করতে হবে। সিপিএমে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায়সরকার বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলগুলিই নিয়ম ভাঙছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্মসূচি নিচ্ছি।