বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের প্রমাণ পাওয়ার পরেই পুলিস তদন্তে নেমেছিল। বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের পর শুক্রবার রেজিনগর থানার পুলিস মৃতার স্ত্রী এবং তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে। প্রেমিক আবার এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য। রেজিনগরের দাদপুরের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ধৃতরা খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। তাদের আরও জেরা করা হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই বাড়ির মধ্যেই আনোয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘরের মধ্যে ইলেক্ট্রিক তার পড়ে থাকায় প্রথম থেকেই পুলিসের সন্দেহ হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মৃতের স্ত্রী সোনালি বিবির সঙ্গে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সাহাদ আলির সম্পর্ক রয়েছে। সোনালি তার সঙ্গে একবার বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে আসার পর ফের সে আনোয়ারের সঙ্গে ঘর করে। কিন্তু, পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গে তার সম্পর্কে ফাটল ধরেনি। পঞ্চায়েত সদস্য ওই যুবকের অনুপস্থিতিতে প্রায়ই বাড়িতে আসত। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তিও শুরু হয়। এত কিছুর পরেও আনোয়ার স্ত্রীকে ছাড়তে চাননি। তিনি এসবের প্রতিবাদ করলে তাঁকে পঞ্চায়েত সদস্য খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার রাতে স্ত্রীর সঙ্গেও এসব নিয়ে বিবাদ বাধে আনোয়ারের। এরপরেই তাঁর স্ত্রী ফোন করে প্রেমিককে ডেকে নেয়।
ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, ‘আজ খেল খতম হবে। অভিমান ভুলে তুমি ওকে মদ খাওয়াও।’ সেই মতো কাজও হয়। ঘরের বাইরে আনোয়ার শুয়ে পড়েন। স্বামী ঘুমিয়ে পড়তেই প্রেমিককে ফোন করে বাড়িতে ডাকে সোনালি। এরপরেই অভিযুক্ত ইলেক্ট্রিক তার হাতে আনোয়ারের বাড়িতে হাজির হয়। ছোট তার দিয়ে তাঁর গলা পেঁচিয়ে ধরে। শ্বাস রোধ করে মেরে দেয়। খুনের পরেও অভিযুক্ত বেশ কিছুক্ষণ ঘরে ছিল। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানো নিয়ে পরিকল্পনা করে। তারপর গভীর রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তি যায়। এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, ওকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওর কঠোর সাজা হওয়া দরকার।