বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৬১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র বর্ধমান শহরেই আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন। গোটা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে ১৬ জন মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে ন’জনই বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। স্বাভাবিকভাবেই জেলার সদর শহরে দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে। শহরের এই সংক্রমণ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরও উদ্বেগে রয়েছে। করোনা প্রকোপের মধ্যেই এখন অনেকেরই সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। যা করোনারও অন্যতম উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। তাই এই জ্বর-সর্দি রোগীদের চিকিৎসার জন্য সপ্তাহ তিনেক আগে বর্ধমান শহরে চারটি নতুন ফ্লু-ক্লিনিক খোলা হয়েছে। গুডসশেড রোড, বাদশাহি রোড, সারখানা বাগান এবং সুকান্তপল্লিতে ওই ক্লিনিক চলছে।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং কর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য সংস্কৃতি লোকমঞ্চের পিছনের অংশে সপ্তাহ দু’য়েক আগে একটি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দিন কয়েক আগে থেকে ওই কেন্দ্রটিকে শহরের একটি পৃথক স্থায়ী নমুনা কেন্দ্র করা হয়েছে। শহরের ওই চারটি ফ্লু-ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা উপসর্গযুক্ত এবং সন্দেহভাজনদের এই নমুনা কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন। শহরের বাসিন্দারা সরাসরি এখানে এসে নমুনা দিতে পারবেন না। প্রথমে ফ্লু-ক্লিনিকে যেতে হবে। সেই ফ্লু-ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা যদি সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে, তাহলেই এখানে নমুনা দেওয়া যাবে। ওই চারটি ফ্লু-ক্লিনিকে সরকারি গাড়িও রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের ওই গাড়িতে চাপিয়ে এই নমুনা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। করোনা পরীক্ষার জন্য এখান থেকে নমুনাগুলি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। মেডিক্যালেই পরীক্ষা হচ্ছে। এতদিন বর্ধমান শহরে করোনার জন্য পৃথক কোনও নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র ছিল না। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গাংপুরের কোভিড হাসপাতাল এবং শহরের বাইরে কালনা রোডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নমুনা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায় বলেন, সংস্কৃতি লোকমঞ্চে যে নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে, সেটি স্থায়ীভাবে এখন থাকবে। সেখান থেকে প্রতিদিনই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।