বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
গত বছর নভেম্বর মাসে বুলবুল সাইক্লোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য ২০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। ছ’লক্ষের বেশি চাষির অ্যাকাউন্টে কৃষিদপ্তর সেই টাকা পাঠায়। কিন্তু, দেখা যায়, প্রায় ৪০হাজার চাষি টাকা পাননি। দপ্তর টাকা পাঠানোর পরও কেন চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা যায়নি, তা নিয়ে জেলাজুড়ে হইচই পড়ে যায়।
এছাড়াও সম্প্রতি খরিফ এবং রবি মরশুমে প্রায় ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার চাষির অ্যাকাউন্টে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় চাষিরা পাসবই নিয়ে বারবার ব্যাঙ্ক এবং ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অবশেষে জানা যায়, অ্যাকাউন্ট বিভ্রাটের কারণে এই সমস্যা। মূলত অ্যাকাউন্ট ‘ডরমেন্ট’ ও ‘ডিফল্ট’ হওয়ার পাশাপাশি কৃষকবন্ধু পোর্টালে চাষির নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর কিংবা আইএফএসসি কোডে ভুলের জেরেই তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি নাগাদ জেলার সমস্ত ব্লকে ওইসব চাষির পাসবই আপডেট করে জেরক্স সহ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে আবেদন করতে বলা হয়। সেই আবেদনের জন্য পাসবই আপডেট করা জরুরি। কিন্তু, করোনা আতঙ্কে ব্যাঙ্ক ওই কাজে বেঁকে বসায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। চাষিরা হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে টাকা লেনদেন করলেও হাতে পাসবই নিয়ে আপডেট আপাতত বন্ধ রেখেছে। অটোমেটিক মেশিনে ওই কাজ চলছে। কিন্তু, গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কগুলিতে ওই মেশিন নেই। এই অবস্থায় মিসড কল করে ব্যালান্স জানার নম্বর হাতে ধরিয়ে গ্রাহকদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
পূর্ব মেদিনীপুরের লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সুদীপকুমার মাইতি বলেন, লকডাউন পর্বে সমস্ত ব্যাঙ্কে পাসবুক আপডেট বন্ধ ছিল। তারপর বেশকিছু ব্যাঙ্কে ওই কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু, কোনও কোনও শাখা এখনও সেটা সম্ভবত শুরু করেনি।
হলদিয়া শহরের মঞ্জুশ্রীর বাসিন্দা সামসুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার দুর্গাচকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পাসবই আপডেট করাতে গেলে ওরা ফিরিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে ওই কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে। ওই ব্যাঙ্কের অটোমেটিক মেশিনও নেই। এর ফলে প্রচুর গ্রাহক সমস্যার মুখে পড়েছেন।
মহিষাদল ব্লকের সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা শম্ভু সামন্তের অ্যাকাউন্ট বিভ্রাটের কারণে কৃষিদপ্তরের বুলবুলের ক্ষতিপূরণের টাকা ঢোকেনি। পাসবুকের আপডেট করা জেরক্স সহ ১৭ থেকে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে পুনরায় আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ব্লক কৃষিদপ্তর। কিন্তু, ব্যাঙ্কে বারবার ঘুরেও কিছু করতে পারেননি শম্ভুবাবু।