বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
কাঁথি পুরসভার সবক’টি ওয়ার্ডকেই কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক। বৃহস্পতিবার রাতে সেই পুর এলাকাতেই একসঙ্গে ১৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী জানান। আক্রান্তদের মধ্যে গত বুধবার ওড়িশার হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলারের দাদা, বউদি এবং দাদার ছেলে সংক্রামিত হয়েছেন। মহিষাদলের গেঁওখালি এলাকার এক বৃদ্ধ গত ২০ জুলাই তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দেহ সৎকার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। মৃতের ছোট ভাইয়ের পরিবারের তিনজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বৃহস্পতিবার রাতে। ছোট ভাই, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৫ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর বাড়ি ভগবানপুর-১ ব্লকের বিভীষণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেই কারণে গোটা পঞ্চায়েত এলাকাকে ২৭জুলাই থেকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জেলা পরিষদ সদস্য এখনও পাঁশকুড়ার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার রাতে সেই বিভীষণপুর গ্রামে ৩১ বছরের এক যুবকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। রাতে ভগবানপুর-১ ব্লক থেকেই সাতজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।
একইভাবে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ১৪টি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করার পরও ধারাবাহিকভাবে ওই সব এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। যেমন কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত নোনাকুড়ি বাজার এলাকার ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোলাঘাট ব্লকের কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর গ্রাম কন্টেইনমেন্ট জোনের মধ্যে পড়ে। সেই গ্রামেই বৃহস্পতিবার রাতে ৩২ বছর বয়সি এক যুবতীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়রাইনচকের বিস্তীর্ণ এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হচ্ছে। অথচ ৩০তারিখ রাতে সেখানে একই পরিবারের দু’জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। একইভাবে শিল্পশহরের টাউনশিপ এলাকা এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডে সুতাহাটার রাজারামপুর এলাকা কন্টেইনমেন্ট সত্ত্বেও ওই দুই জায়গাতেই ৩০ জুলাই রাতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। টাউনশিপে ২৩ বছরের এক যুবক এবং রাজারামপুরে ৩০বছরের এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
পাঁশকুড়া পুরসভার গোটা এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ওই পুরসভায় আটজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাহারগ্রাম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভবানীপুর এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সুরানানকা এলাকায় তাঁদের বাড়ি। গত কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে বাহারগ্রামে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র বলেন, পাঁশকুড়ায় এপর্যন্ত মোট ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ১৮ জন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা হলেও সেখানে লকডাউন ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে পুলিস প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে অনেকেই দাবি তুলছেন। প্রতিদিন যে গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।