বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, জওহর টাওয়ারের বেসমেন্টে অর্থাৎ আন্ডারগ্রাউন্ডে ইলেকট্রিক্যাল রুমে শর্টসার্কিট থেকে জোরালো ফ্ল্যাশিংয়ের ফলে বিদ্যুতের কেবল ফেটে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। বর্ষার জল ঢুকে এই শর্টসার্কিট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, এই ঘটনায় জওহর টাওয়ারের মতো সুরক্ষিত ও আধুনিকমানের অফিসে বিদ্যুৎ সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অফিস টাইম ছাড়া অন্য সময় এই ধরনের শর্টসার্কিট থেকে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারত বলে জানান কর্মীরা।
এই ঘটনার পর বন্দরের শ্রমিক সংগঠনগুলি বন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছেন। অভিযোগ, বন্দরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নজরদারির অভাবেই বিদ্যুৎ নিয়ে একের পর এক অঘটন ঘটছে। বন্দরের ১, ২ ও ৩ নম্বর অয়েল জেটি, লকগেট, জিসি বার্থ বিদ্যুৎ সাবস্টেশান ও প্যানেল বোর্ডগুলি দীর্ঘদিন মেন্টেনেন্সের অভাবে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু বন্দরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারকে বারবার জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) প্রবীণকুমার দাস বলেন, জওহর টাওয়ারে বিদ্যুতের কেবল লাইন ফেটে শর্টসার্কিট হয়েছিল। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। আধঘণ্টার মধ্যেই বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি জানান, বিদ্যুতের পুরনো যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম ধীরে ধীরে মেরামতি বা সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত বিষয়টি বন্দরের নজরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বন্দরের বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এবার বন্দর এলাকায় সুরক্ষার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল পাতার উদ্যোগ নিয়েছে।