বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচিতে হেলমেট নিয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিল পুলিস। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিস বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণও করেছে। করোনার আগে পেঁয়াজের দাম ১৬০ টাকা কেজিতে উঠেছিল। সেই সময় একটি সংস্থা হেলমেট পরা বাইক আরোহীদের এক কেজি পেঁয়াজ উপহার দিচ্ছিল। সব মিলিয়ে হেলমেট নিয়ে সচেতনতা বেড়েছিল। বর্ধমান শহরে বিনা হেলমেটে দেখলেই পুলিস পাকড়াও করত। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে হেলমেট রূপান্তরিত হয়েছে মাস্কে। পুলিস মাস্ক নিয়ে রাস্তায় প্রচার করছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিস মাস্ক বিতরণও করছে। সেই সুযোগকেই হাতিয়ার করছে একদল বাইক আরোহী। যারা বিনা হেলমেটে শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
মাস্ক নিয়ে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে রোজই চলছে পুলিসি অভিযান। প্রতিটি রাস্তার মুখেই দাঁড়িয়ে থাকছে পুলিস। ট্রাফিক সিগন্যাল লাল হলেই দাঁড়িয়ে পড়া কোন বাইক আরোহীর মুখে মাস্ক নেই, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। কারও পকেট থেকে, কারও ব্যাগ থেকে মাস্ক বের পরিয়েছে পুলিস। তবে, হেলমেট না থাকলে ছাড় পেয়ে যাচ্ছিলেন কমবেশি সকলেই। সেটা গত কয়েকদিনে টের পেয়েছেন অনেকেই। তাই দিব্যি মাস্ক পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। দু’দিন আগেই কার্জন গেটে এক ব্যক্তিকে আটকায় পুলিস। লকডাউন ভেঙে তিনি বেরিয়েছিলেন। তাঁর গলায় মাস্ক ঝুলছিল। মাস্ক পরতে বলার আগেই তিনি দাঁত বের করে গলা থেকে মাস্ক টেনে তোলেন। তারপর তর্কও জুড়ে দেন। কেন আটকালেন? তখন এক অফিসার তাঁকে প্রশ্ন করেন, মাথায় হেলমেট কই? তাঁর উত্তর, করোনা ভাইরাস কি মাথা দিয়ে ঢোকে? ভাইরাস তো মুখ দিয়ে ঢোকে। তাই মাস্ক পরেছি। হেলমেট পরিনি।
অনেকে যে হেলমেট পরছেন না, তা পুলিসের নজরেও রয়েছে। মহকুমা পুলিস আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান বর্ধমান শহরে বুধবারই হেলমেট নিয়ে সচেতনতা করেন। তবে, কাউকে মামলা দেননি। এক হেলমেটহীন বাইক আরোহীকে আটকানো হলে তাঁর যুক্তি, স্যার, মাথায় হেলমেট না থাকলে করোনা হবে না। কিন্তু, মুখে মাস্ক না থাকলে করোনায় মারা যাব। তাই স্যার মাস্ককে গুরুত্ব দিচ্ছি।
মহকুমা পুলিস আধিকারিক বলেন, মাস্ক নিয়ে সচেতনতা করেছি। সকলেই মাস্ক পরছেন। কেউ কেউ হেলমেট পরছেন না এটা ঠিক। তাই হেলমেট নিয়ে আমরা সচেতন করছি। হেলমেট না পরলে আইনি অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।