বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কোনও পড়ুয়া টোল ফ্রি নম্বরে কল করলে বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, নেপালি, হিন্দি, সাঁওতালি, যে কোনও ভাষা বেছে নিয়ে কথা বলতে পারে। এরপরে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের কাছে কল ট্রান্সফার করে দেবেন অপারেটর। নবম ও দশম শ্রেণির সাতটি বিষয়ে ওই টোল ফ্রি নম্বরে কল করে পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবে পড়ুয়ারা। এই পরিষেবা চালু হলে জঙ্গলমহলের পড়ুয়াদের অনেকেই উপকৃত হবে।
করোনা আবহে ১০ মার্চ থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আগস্ট মাস পর্যন্ত সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। কিছু কিছু স্কুল অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা খুবই সমস্যায় পড়ছে। কারণ, ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি সহ অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় পড়ুয়াদের বাড়িতে স্মার্ট ফোন নেই। এমনকী অনেক জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্কেরও সমস্যা রয়েছে। শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, টোল ফ্রি নম্বরে পডুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দু’হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার নামের তালিকা তৈরি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২২ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিষয়টি বোঝানো হচ্ছে। কীভাবে টোল-ফ্রি নম্বরে আসা প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে হবে, তানিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধারণা দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬১ জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪১ জন এবং ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁওতালি মাধ্যমের ৮ জন ও বাংলা মাধ্যমে ১৪ জন শিক্ষিক-শিক্ষিকা দূরভাষে পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তবে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তের পড়ুয়াদের কল তাঁদের কাছে আসতে পারে।
ঝাড়গ্রাম জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই পরিষেবায় জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা খুবই উপকৃত হবে। টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলে তারা এই সুবিধা পাবে। এখন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। যাবতীয় কাজ শেষ হওয়ার মুখে। খুব শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে।