বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ কারখানার এক কর্মী কেতনবাবুকে চা দিতে গিয়ে দেখেন, ঘর রক্তে ভেসে গিয়েছে। বিছানায় চাপ চাপ রক্ত জমে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ম্যানেজার মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছেন। তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ওই কর্মীই চিৎকার করে কারখানার বাকি কর্মীদের ডাকেন।
মৃতের কানের দু’পাশে গুলির চিহ্ন থাকায় গুলি এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছে বলে পুলিসের অনুমান। রক্তাক্ত বিছানার পাশেই একটি গুলি ও একটি খোল উদ্ধার হওয়ায় মৃত্যু নিশ্চিত করতেই কানের দু’পাশেই গুলি করা হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করছে পুলিস। তাঁকে খুনের পর অফিসের আলমারি ভেঙে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। টাকার জন্যই খুন বলে পুলিসের ধারণা।
কারখানার মালিক কলকাতার বাসিন্দা সঞ্জয় নাহাটা বলেন, সকালেই খবর পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করলেও আগে কখনও কোনও সমস্যা হয়নি। এমনকী টাকাপয়সার জন্যও কেউ চাপ দেয়নি। অফিসের আলমারি ভেঙে প্রায় চার লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিস তদন্ত করে দোষীদের সাজা দিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতেও ম্যানেজার প্লাস্টিক কারখানার দোতলার অফিসরুমেই ছিলেন। অন্য দুই অপারেটর কর্মী মেদিনীপুরের কার্তিক জানা ও ওড়িশার অভিজিৎ রাউত নীচের ঘরে থাকতেন। অভিজিৎবাবু বলেন, নীচে কারখানা চলছিল, আমরা কিছুই বুঝতেও পারিনি। কোনও চিৎকার বা গুলির শব্দও পাইনি। রাত দশটায় তাঁকে খাবার দিয়ে এসে রাতের ডিউটি শেষ করে রাত ১২টা নাগাদ আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। কারখানার মূল গেটটি রাতে তালাবন্ধ থাকে। দুষ্কৃতীরা পিছনের দিক দিয়ে উঠে খুন করছে বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া সিঁড়িঘরের দরজা খোলা অবস্থায় ছিল। কারখানা তৈরির পর থেকেই প্রায় ১০-১২বছর তিনি ওই কারখানার ম্যানেজার পদে ছিলেন। ব্যবসায়ীদের ওই অফিসে যাতায়াত ছিল। পরিচিত কয়েকজন বন্ধুবান্ধবও আসতেন। প্রতিদিন প্রায় ৪০জন কর্মী দিন ও রাতে বিভিন্ন শিফটে কারখানায় কাজ করেন।
রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুরে ৩৪নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় ছোটবড় শতাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে। অধিকাংশই প্লাস্টিক কারখানা। কারখানাগুলিতে গৃহস্থালীর বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি হয়। কিন্তু, স্থানীয় বাসিন্দারা এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা স্মরণ করতে পারছেন না। ফলে, এ ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা। এদিন ঘটনাস্থলে আসেন জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ কাররা। তিনি বলেন, টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক তদন্তে লুটের জন্যই খুন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার হয়নি।