বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাদ যাচ্ছেন না চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মী। এতদিন সমস্ত পজিটিভ রোগীদের রামপুরহাট করোনা হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা হয়ে আসছে। কিন্তু, বর্তমানে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ওই হাসপাতালে বেড অপ্রতুল হয়ে পড়েছে। ফলে, উপসর্গহীন রোগীদের তারাপীঠের সেফ হোমে রাখা হচ্ছে। সেখানে বেড সংখ্যা ৪০ থেকে বাড়িয়ে ১৬০ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ৫০টি বেড নিয়ে রামপুরহাট করোনা হাসপাতাল চালু করা হয়। যার মধ্যে সিসিইউ বেড পাঁচটি, ডায়ালিসিস বেড দু’টি ও এসডিইউ বেড তিনটি। এছাড়া একটি ঘরে এক্স-রে মেশিন বসানো হয়েছে। অন্য একটি ঘর চিকিৎসকদের থাকার জন্য। বর্তমানে সাধারণ বেডের সংখ্যা ৩৫। কিন্তু, দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে, করোনা হাসপাতালে বেড অপ্রতুল হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ উপসর্গহীন আক্রান্তদের জন্য সেফ হোম করা হয়েছে। কিন্তু করোনা যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ পজিটিভ হলে তাঁকে তো পাঁচজনের সঙ্গে সেফ হোমে পাঠানো খারাপ দেখায়। তাই উপসর্গহীন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মেডিক্যাল চত্বরেই পৃথক ওয়ার্ড তৈরির কথা ভাবা হয় বলে জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্যকর্তা।
জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল চত্বরে থাকা পুরনো নার্সিং হস্টেলের একটি ফ্লোরে এই পৃথক ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ করে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়ে পড়লে সেখানে রেখে যাতে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দেওয়া যায়। পরে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ সুজিতকুমার দে বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ পজিটিভ হলে এবং তাঁর যদি কোনও উপসর্গ না থাকে, তাহলে তাঁকে পৃথকভাবে রাখা হবে। সেজন্যই এই ভাবনা।
এব্যাপারে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রামপুরহাট মহকুমা সম্পাদক ডাঃ দেবব্রত দাস বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়া মানেই যে তাঁকে প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসাকেন্দ্রে রেখে ভেন্টিলেশন, স্যালাইন দিতে হবে এমনটা নয়। কারণ, অধিকাংশ আক্রান্তই উপসর্গহীন। তিনি বলেন, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই বাইরে থেকে এসে ডিউটি করেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁদের কেউ পজিটিভ হলে কর্মস্থলেই আইসোলেটেড জায়গা পাবেন। আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারেও দুশ্চিন্তা কমবে। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত।