কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এবিষয়ে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা আগেই শহরে পান-গুটখার পিক ফেলা নিষিদ্ধ করেছি। নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানাও করা হবে। এনিয়ে জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে। যত্রতত্র পিক ফেললে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। শহরের বাসিন্দাদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে।
কাটোয়া শহরে রবিবার পাঁচজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শহরজুড়ে শুধু করোনা নিয়েই আলোচনা চলছে। তবে, বেশি দোকান, বাজারে যাতে না যেতে হয় তারজন্য অনলাইনে বড় বড় স্যানিটাইজারের জার কিনছেন মানুষ। এমনকী শহরের ওষুধের দোকানে ডেটল না পাওয়া গেলেও অনলাইনে তা অর্ডার দিচ্ছেন নাগরিকরা। সার্কাস ময়দানের বাসিন্দা মনোজ পাল বলেন, অনলাইনে কয়েকদিন আগেই ৫ লিটারের স্যানিটাইজার কিনেছি। বাড়িতে স্প্রে করছি। পাশাপাশি পকেটেও সবসময় নিয়ে ঘুরছি। শহরের আরএক বাসিন্দা বলেন, আমিও অনলাইনে কিনেছি। অমিতাভ বচ্চনের মতো মানুষ যদি আক্রান্ত হতে পারেন, তাহলে আমরা তো চুনোপুটি।
এদিকে শহরের বেশ কিছু দোকানে অভিনব স্যানিটাইজার স্প্রে মেশিন বিক্রি হচ্ছে। ছোট পকেটের মধ্যেই ওই যন্ত্রটি রাখা যায়। তা দিয়ে টাকা ও নিজের পোশাকে স্প্রে করা যায়। মাত্র ১২০ টাকার ইলেক্ট্রনিক্স ওই যন্ত্র চার্জ দেওয়া যায়। তা পকেটে করে নিয়ে বাসিন্দারা দোকানে বসছেন। টাকা লেনদেনের সময় বা নিজের মোবাইলেও ওই ছোট মেশিন দিয়ে স্প্রে করছেন। শহরের এক ব্যবস্যায়ী বলেন, সারাদিন প্রচুর পরিমাণে ছোট স্প্রে মেশিন বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কাটোয়া শহরের বিভিন্ন সরকারি অফিস, পুরসভা, হাসপাতাল চত্বরে তাকেলেই দেখা যাবে খয়েরি রঙের পান-গুটখার পিকে ভর্তি। যেখানে সেখানে থুতু ফেলে নোংরা করা হচ্ছে অফিসের দেওয়াল। বিশেষ করে কাটোয়া শহরের স্টেট ব্যাঙ্কের প্রবেশপথের সিঁড়ির দেওয়াল পান-গুটখার পিকে ভরে গিয়েছে। বাজারের বিভিন্ন দেওয়ালে দেব-দেবীর মূর্তি লাগিয়েও পিক ফেলার প্রবণতা রোখা যাচ্ছে না। এর আগেও কাটোয়া পুরসভা এনিয়ে প্রচার চালিয়েছে। করোনাকালে ফের এনিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।