কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাঁকুড়ায় নতুন করে আট জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২৪ জন। অন্যদিকে, সোমবার আরও দু’জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট ২৫৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ৬৫ জন এখনও ওন্দা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিদিনই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ফের করোনা আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসছে। যা নিয়ে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সেইমতো কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন সুনিশ্চিত করতে পুলিস ও প্রশাসন কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
এদিকে, নতুন করে আরামবাগ মহকুমায় সাতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের মহিলা সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি থাকা এক যুবতীও রয়েছেন। তাঁর বাড়ি আরামবাগ শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি আক্রান্তদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি আরামবাগের দক্ষিণ নারায়ণপুর এলাকায়। এছাড়াও খানাকুল-২ ব্লকের দু’জন ও পুরশুড়া ব্লকের একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের ছ’জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সোমবার রাতে আসে। মঙ্গলবার সকালে আসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবতীর পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। জানা গিয়েছে, গত ১১ তারিখ অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা নিয়ে ওই যুবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। যে কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন বিকেলেই তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ করা হয়। এদিন সকালে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই তাঁকে আরামবাগের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, ওই রোগী করোনা পজিটিভ জানাজানি হতেই হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। পরে হাসপাতাল চত্বরটিকে স্যানিটাইজ করে প্রশাসন।
এদিকে, বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার কয়েকদিন পরেই পুরুলিয়া শহরের এক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুরুলিয়া শহরের সদর পাড়া এলাকার ওই ব্যবসায়ীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাটিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ঘিরে ফেলা হয়েছে এলাকা। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই ব্যবসায়ী পুরুলিয়া শহরের একটি অভিজাত হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে কলকাতা থেকেও কয়েকজন অতিথি এসেছিলেন। বিয়ে বাড়িতে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তার তালিকা করা হচ্ছে। দোকান থেকেও কতজন তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ প্রশাসন শুরু করেছে। তাঁদের লালারসও সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় দু’জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১১ হয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হেঁটে বাসিন্দাদের সর্তক করেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। পথচলতি মানুষকে তিনি মাস্ক ছাড়া বেরতে নিষেধ করেন। কয়েকজন মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হয়েছিলেন। তাঁদের ওঠবস করান জেলাশাসক।