রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তবে, শুধু যে জাস্টিস বোর্ড নেই তা নয়, নাবালকদের জন্য নেই কোনও হোম। তাই চাইল্ড ম্যারেজ বা পাচার করতে গিয়ে উদ্ধার নাবালক-নাবালিকাকে পাঠাতে হয় ভিন জেলায়। ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা এই জেলায় অপরাধীদের দাপটও যথেষ্ট বেশি। ভৌগলিক অবস্থানের বিচারে এখানে জেজেবি ও হোমের একান্ত প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা আজও গড়ে তোলা হয়নি।
অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভেন্দু বসু বলেন, জেজেবির নিয়োগ নিয়ে জেলাশাসক বৈঠকে করেছেন। এছাড়া কোথায় এর অফিস হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত জেজেবি কার্যকরী হয়ে ওঠে।
কয়লাখনির জন্য যেমন এই জেলার নাম রয়েছে, তেমনই অপরাধের জন্যও পশ্চিম বর্ধমানের নাম বারবার উঠে আসে। এখানে যেমন রয়েছে মফিয়াদের গ্যাং, তেমনই রয়েছে সাইবার অপরাধী চক্র। চিনাকুড়ির মোবাইল চোরের কুখ্যাতি জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে বহু জায়গায় চর্চিত। তবে, কয়েক বছরে নাবালকদের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে মোবাইল চুরির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সি নাবালকদের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কী কারণে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে অল্পবয়সিরা? চিনাকুড়ির কুখ্যাত নুনিয়া বস্তিতে ঢুঁ মারতেই জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা করে এদের অপরাধ জগতে নামানো হচ্ছে। কারণ দাগি অপরাধীরা ভালোমতোই জানে, জেলায় জুভেনাইন জাস্টিস বোর্ড নেই। তাই চুরি করতে গিয়ে কেউ ধরা পড়লেও নাবালক হওয়ায় আটকে রাখা যাবে না। অথচ বোর্ড না থাকায় ধৃতকে আদালতেও তোলা যাবে না। বাধ্য হয়ে পুলিসকে ছুটতে হবে পূর্ব বর্ধমানের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে। তাই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে নাবালকদের বেশি করে এইসব কাজে নামানো হচ্ছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই সমস্যার জেরে হাতে নাতে ধরা পড়া অনেক চোরকেই চুরির তথ্য গোপন রেখে তোলা হয় আসানসোলের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে। তবে সেখানেও সমস্যার শেষ নেই। চাইল্ড কনফ্লিক্ট উইথ ল অর্থাৎ যারা আইনের চোখে অভিযুক্ত তাদের জন্য কোনও বিশেষ হোমও নেই। তাই অভিযুক্তদের রাখতে গিয়েও পুলিসের হয়রানির শেষ থাকে না। তাই পকসো ধারায় অভিযুক্তদেরও নিয়েও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
এদিকে, সীমানাবর্তী জেলায় প্রচুর নাবালক-নাবালিকা উদ্ধার হয়। এমনকী এখনও সেভাবে শিশু সুরক্ষা নিয়ে সম্পূর্ণ পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় বহু শিশু শ্রমিককে ভিক্ষাবৃত্তি করতেও দেখা যাচ্ছে। শহরের সচেতন নাগরিকদের মতে, প্রশাসন দ্রুত বিষয়গুলি নিয়ে পদক্ষেপ না নিলে অনেক শৈশবই হারিয়ে যাবে অপরাধ জগতের অন্ধকার গলিতে।