কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের নির্দেশমতো এখন থেকে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, প্রশাসনের নির্দেশমতো শহরের দোকান বাজার খোলার ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরসভার তরফেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। যদিও শহরের একাংশের বাসিন্দারা লকডাউনের জোরালো দাবি করেছেন। তাঁরা বলেন, সাধারণভাবেই আরামবাগ শহরের বাজার রাত ন'টার পরে ফাঁকা হয়ে যায়। এখন করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই সন্ধ্যা সাতটার পরে লোকজন থাকে না। তাই এই নির্দেশিকা জারি হলেও, তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। প্রতিদিনই আরামবাগে বিভিন্ন কাজে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বহু মানুষ আসে। কিন্তু রাস্তাঘাটে সামাজিক দূরত্ব মানা হয় না। আমরা চাই শহরকে পুরোপুরি লকডাউন করা হোক।
এদিকে, যেকোনও পরিস্থিতিতে আরামবাগ মহকুমায় কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকাকে চিহ্নিত করে সেখানে লকডাউন করা হতে পারে। তার জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়েছে মহকুমার প্রশাসনিক কর্তারা। প্রসঙ্গত, এখন প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আক্রান্তরা পরিযায়ী শ্রমিক না হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের। আরামবাগ মহকুমা
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিনশো ছুঁইছুঁই। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া এখন নতুন করে যাঁরা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের কেস হিস্ট্রি থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা ভিন রাজ্য ফেরত নন। অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণের মাধ্যমেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে আইএলআই (ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস) উল্লেখ থাকছে। চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, গোষ্ঠী সংক্রমণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তা না হলে এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।