পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিএসএফের ১৪১ব্যাটালিয়ানের সেকেন্ড ইন কমান্ড অরবিন্দ কুমার বলেন, সোমবার রাতেই জলঙ্গি বিওপি এলাকা থেকে ৫৫কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই এলাকা ‘স্মাগলিং এরিয়া’ হিসেবে পরিচিত। মাদক ছাড়াও আমরা প্রায়ই গোরু আটক করি। বর্ষার সময় পাচাকারীরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের বাহিনী সজাগ রয়েছে। হামেশাই মাদক বাজেয়াপ্ত হয়। এই চক্রে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেও বাউসমারি এলাকা থেকেও ৫০০বোতল কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। জলঙ্গি থেকেও কয়েকশো বোতল কাসির সিরাপ উদ্ধার হয়। খাসমহল এলাকা থেকে গবাদি পশু আটক করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার সময় বিভিন্নভাবে মাদক কারবারিরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় তারা মৃত পশুর পেট কেটে মাদক ভরে দেয়। পরে সেটি পদ্মায় ভাসিয়ে ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া গোরুর গলায় কলার ভেলা বেঁধে পুরনো কৌশলেও মাদক পাচার করা হয়। গোরুর লেজের সঙ্গে ব্যাগে ভরে মাদক বেঁধে দেওয়া হয়। তারফলে গোরু এবং মাদক দুইই বাংলাদেশে চলে যায়। জলঙ্গি এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন ধরেই পাচারকারীদের রমরমা বেড়েছে। আর কিছুদিন পর পুরো চর জলে ভর্তি হয়ে যাবে। তখন তাদের রমরমা আরও বাড়বে। কারণ গোরু হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু নদীতে ছেড়ে দিলে তারা ভাসতে ভাসতে চলে যায়। গোরু চিহ্নিত করা থাকে। ওপারে থাকা পাচারকারীদের সেকারণে গোরু চিনতে অসুবিধা হয় না। তবে পাচারকারীরা এখন গাঁজা, হেরোইন এবং কাশির সিরাপ পাচারে জোর দিয়েছে। কয়েকদিন আগে জঙ্গিপুর জেলা পুলিস বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছিল। বিপুল পরিমাণ গাঁজা জলঙ্গি সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে যেত। বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় পাট গাছ না চাষ করার জন্য এলাকার বাসিন্দাদের বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারপরও এই চাষ তাঁরা করেন। মানবিকতার কারণেই পাট চাষ বন্ধ করতে শক্তি প্রয়োগ করা হয় না। কিন্তু গাছ বড় হতে থাকলে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। মুর্শিদাবাদে ১২৫.৩৫ কিলোমিটার বর্ডার এলাকা রয়েছে। তারমধ্যে ৪২.৩৫ কিলোমিটার এরিয়া নদী সীমান্ত। সামশেরগঞ্জ, সূতি-১, সূতি-২, রঘুনাথগঞ্জ-২, লালগোলা, ভগবানগোলা-১, ভগবানগোলা-২, রানিনগর-২ এবং জলঙ্গি ব্লক এলাকায় সীমান্ত রয়েছে। বর্ষার সময় বিস্তীর্ণ এই এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।