কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত বছর ৯নভেম্বর বুলবুল সাইক্লোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমন চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য ২০৫কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর কৃষিজমির মধ্যে ১লক্ষ ৯১হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। ২২নভেম্বর জেলাশাসক গোটা জেলার ৩১৯৯টি মৌজার মধ্যে ৩০১২টি মৌজাকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন করেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফসল বিমা যোজনায় বিমা সংস্থা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। ওই সংস্থার লোকজন এসে ‘ক্রপ কাটিং’ করে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করেছেন।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী বুলবুল সাইক্লোনে তমলুক ব্লকে ১০৮টি, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ৮১টি, পাঁশকুড়া ব্লকে ২৪৮টি, কোলাঘাটে ১১৪টি, নন্দকুমার ব্লকে ১০০টি, চণ্ডীপুর ব্লকে ১১৩টি, ময়না ব্লকে ৪৫টি, মহিষাদল ব্লকে ৭৩টি, সুতাহাটা ব্লকে ১০০টি, হলদিয়া ব্লকে ৪৫টি, নন্দীগ্রাম-১ব্লকে ৯৯টি, নন্দীগ্রাম-২ব্লকে ৪১টি, কাঁথি-১ব্লকে ২৪৩টি, দেশপ্রাণ ব্লকে ১৬৯টি, কাঁথি-৩ব্লকে ১৬৬টি, রামনগর-১ব্লকে ১৩৪টি, রামনগর-২ব্লকে ১৩৭টি, ভগবানপুর-২ব্লকে ১৬৮টি, খেজুরি-১ব্লকে ৪৫টি, খেজুরি-২ব্লকে ৯৯টি, ভগবানপুর-১ব্লকে ১৬৮টি, এগরা-১ব্লকে ১০৭টি, এগরা-২ব্লকে ১১৮টি, পটাশপুর-১ব্লকে ১৪০টি এবং পটাশপুর-২ব্লকে ১৫১টি মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত। ওই সব মৌজার চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফসল বিমা যোজনায় বেশকিছু এলাকাকে বাদ দেওয়ার জন্য সার্ভে শুরু হয়েছে। আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিমা সংস্থার লোকজন ‘ক্রপ কাটিং’ করতেন। ২০২০সাল থেকে উপগ্রহ চিত্র মারফত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করবে বিমা সংস্থা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অনেক মৌজা ১০০শতাংশ জলাশয় সত্ত্বেও সেখানকার লোকজনের নাম ‘কৃষকবন্ধু’ পোর্টালে নথিভুক্ত। তাঁরা চাষাবাদের জন্য বছরে দু’টি মরশুমে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন। ধানচাষের তুলনায় মাছচাষ ঢের বেশি লাভজনক হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় মাছচাষের দিকে ঝুকঁছেন লোকজন। চাষের জায়গায় তৈরি করে ভেড়ি। এরকম জায়গা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মৌজাকে কৃষিএলাকা হিসেবে বাদ দেওয়া হবে। সেই সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ। প্রতিটি ব্লক থেকে দ্রুত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্যে। তারপর রাজ্যের পরামর্শে মৌজা বাদ এবং কৃষকবন্ধু পোর্টাল থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনের নামও বাদ যেতে পারে।
যেকোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর উপগ্রহ চিত্রে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জল দেখা গেলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। সেজন্য ভেড়ি অধ্যুষিত এলাকাকে কৃষি মৌজার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে দ্রুত।