বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই বর্ষায় এবং কোটালের সময় শঙ্করপুর, জলধা, জামড়া-শ্যামপুর প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দাদের ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটে। জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে দুর্বল সমুদ্রপাড় ভেঙে এবং বাঁধ উপচে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে জোয়ারের নোনা জল ঢুকে পড়ে। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বিঘার পর বিঘা ধানের জমি প্লাবিত হয়। নোনা জলের জন্য দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় ধান বা অন্যান্য ফসল চাষ করতে পারছেন না এলাকাবাসী। অনেক সময় বাড়িও জলমগ্ন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতি বছর কাঠের বল্লা পুঁতে তার মধ্যে বালির বস্তা, বোল্ডার ফেলে অস্থায়ীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ করে সেচদপ্তর। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই স্থায়ীভাবে পাড় বাঁধানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে দীঘার সি-হক ঘোলা ঘাট থেকে উদয়পুর পর্যন্ত ৫.৩৮ কিলোমিটার কংক্রিটের পাড় বাঁধানোর কাজ হয়েছে। ওই কাজের জন্য ৮৬ কোটি টাকা খরচ হয়। সেই অর্থের মধ্যেই শঙ্করপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্বদিকে এক কিলোমিটার পাড় বাঁধানোর কাজ হয়ে গিয়েছিল। এবার শঙ্করপুরের দু’দিকে পাড় বাঁধানোর কাজ হলেই ওই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন। গত বছর নভেম্বর মাসে বুলবুল ঝড়ের পর শুভেন্দুবাবু শঙ্করপুর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্রবাঁধ পরিদর্শন করেন। মূলত তাঁর চেষ্টাতেই এবছরের গোড়ায় রাজ্য সেচদপ্তর ৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। গত মার্চ মাস থেকে পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
সেচদপ্তরের কাঁথি বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপনকুমার পণ্ডিত বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যাতে কাজ শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি বলেন, শঙ্করপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মৎস্যবন্দর পর্যন্ত কাজের জন্য গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন দপ্তরের কাছে ইতিপূর্বে একটি ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে। একদিকে শঙ্করপুর প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে জলধা পর্যন্ত এবং অন্যদিকে শঙ্করপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মৎস্যবন্দর পর্যন্ত পাড় বাঁধানোর কাজ হয়ে গেলে এলাকার বাসিন্দাদের আর ভাঙনের আতঙ্কে ভুগতে হবে না। তবে তার জন্য বাসিন্দাদের অন্তত আরও বছর দু’য়েক অপেক্ষা করতেই হবে। ফাইল চিত্র