পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় শাসক দলের ভরাডুবির পরেই তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে জেলার অবজার্ভার হিসেবে নিয়োগ করেন। এরপর জেলার সাংগঠনিক কাঠামোকে মজবুত করতে জেলার একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি হাজির হন। কিন্তু, সতীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার কিছুদিন বাদেই শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে বাঁকুড়া জেলার কো-অবজার্ভার হিসেবে সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটককে দল দায়িত্ব দেয়। তারপরেই শুভেন্দুবাবু জেলায় আসা বন্ধ করে দেন। যদিও কল্যাণবাবু বাঁকুড়ায় এসে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কয়েকটি ব্লকে কর্মী সম্মেলন করেন। তারপরেই জেলা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে শুভেন্দুবাবুকে অবজার্ভার থেকে সরিয়ে দিয়ে কল্যাণবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যা রাজ্য নেতাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছয়। তারপরেই রাজ্য নেতৃত্ব কয়েক দিন আগে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয় বাঁকুড়ায় দলের অবজার্ভার শুভেন্দু অধিকারীই। তিনিই জেলার সাংগঠনিক বিষয়টি দেখভাল করবেন। এরপরেই ২১ জুলাইয়ের আগে ফের দলকে চাঙ্গা করতে জেলার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে তিনি আসছেন।
সূত্রের খবর, শুভেন্দুবাবু জেলায় আসা নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে জেলা নেতৃত্বের একাংশ। কারণ, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই প্রতিটি ব্লকে বুথ, অঞ্চল ও ব্লক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও জেলার বহু গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও পর্যন্ত কমিটি গড়তে পারেনি তৃণমূল। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত জায়গায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে তা মিটিয়ে ফেলার জন্য জেলা নেতৃত্বকে পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু, বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও দু’-একবার কয়েকটি জায়গায় বৈঠক ছাড়া সেভাবে অগ্রগতি কিছু হয়নি। উল্টে বড়জোড়া, শালতোড়া, খাতড়ার মতো এলাকাগুলিতে গোষ্ঠীকোন্দল দিনের পর দিন আরও মাথাচাড়া দিচ্ছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সমস্যাগুলি সমধানের জন্য তিনি কী নির্দেশ দেন, তা জানতে মুখিয়ে রয়েছেন নিচু তলার কর্মীরা। ফাইল চিত্র