বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, শনিবার রাতে জেলায় ৪০জনের বেশি করোনা আক্রান্তের খবর এসেছে। বড়মায় ভর্তির পাশাপাশি হলদিয়ায় সেফ হোমে উপসর্গহীন আক্রান্তদের রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট ১৭জন আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ঘাটাল ও দাসপুরের বাসিন্দা। শুক্র ও শনিবার জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তার উপর সংক্রমণ ধারাবাহিক বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে। পাঁশকুড়ায় পাইকারি সব্জি মার্কেট বন্ধ। সেজন্য তমলুক সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে আনাজপাতির জোগান কমে গিয়েছে। বাড়ছে দাম।
সুতাহাটার চৈতন্যপুর এলাকার ৪৬বছর বয়সি এক প্রাথমিক শিক্ষক এবং তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে ও ১০বছরের ছেলের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। হলদিয়া ব্লকের দেউলপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারিবেড়িয়া গ্রামেই চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শ্রমিক ও দোকানদার রয়েছেন। শহিদ মাতঙ্গিনীর আস্তারায় একটি হাইস্কুলের শিক্ষক করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। কোলাঘাট ব্লকের ছাতিন্দায় ৪৬বছর বয়সি একজন, মহিষাদলে জগৎপুর গ্রামে একই পরিবারে দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার(অপারেশন) করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। তাঁর কলকাতার নাকতলায় বাড়ি। তিনি থাকেন কেটিপিপি টাউনশিপে। কোলাঘাটের উত্তর জিঁয়াদা গ্রামে ৩৮বছর বয়সি একজন, সিদ্ধা গ্রামে একজন এবং বড়ডাঙ্গি গ্রামের ২৯বছর বয়সি এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে কিয়াখালি গ্রামে ২১বছরের এক যুবক, ময়নার পাটনা গ্রামের ৩৫বছর বয়সি একজন এবং নারিকেলদহ গ্রামের ২৬বছর বয়সি আরেকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে গোবরা গ্রামেই পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত।
তমলুক উপ সংশোধনাগারে ৫৬বছর বয়সি এক বন্দি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এগরার গোকুলপুর গ্রামে একজন, হলদিয়ায় ২৬বছর বয়সি এক যুবক, পাঁশকুড়ার কনকপুরে একজন এবং বালিডাংরিতে আর একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হলদিয়ায় জামবেড়িয়ায় একজন, বাড়বাজিতপুরে একজন, নন্দকুমার ব্লকের কল্যাণপুর গ্রামে একজন, হলদিয়া টাউনশিপে ৪৫বছর বয়সি একজন, বাসুদেবপুর দুর্গাচক এলাকায় একজন, মহিষাদলে পূর্ব শ্রীরামপুরে একজন এবং লক্ষ্যায় একসঙ্গে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের বেলিয়াঘাটায় দু’জন, নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলন্দা গ্রামে ২৩বছর বয়সি এক যুবতী এবং ৫৮বছর বয়সি এক প্রৌঢ়া, দাসপুরের খানখাঞ্জাচক গ্রামে চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫বছরের এক যুবক ছাড়াও ১৬ বছর এবং ১৩বছরের দুই কিশোরী এবং ন’বছরের এক বালিকা আছে। ঘাটালের চকসাদি গ্রামে ২৬বছরের এক যুবক, দণ্ডিপুর গ্রামে ২৫বছরের এক যুবক, ডেবরার গড়নিশ্চিন্তপুর গ্রামের একজন, নারায়ণগড় ব্লকের বেলদার একজন, খড়্গপুর শহরে সুভাষপল্লি গেট এলাকার একজন এবং দাঁতনের তুরকা গ্রামে ৩০বছর বয়সি একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মেদিনীপুরে আয়ুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩০বছরের এক যুবতী এবং ৪০বছরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।