বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দির হিজল এলাকায় রয়েছে ১৮টি গ্রাম। একসময় এলাকার প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ থাকলেও, এখন কৃষিকাজের সঙ্গে পরিযায়ী শ্রম খাটাও ব্যাপক অংশের বাসিন্দার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু বছর ধরেই ওই এলাকার যুবকরা সৌদিতে কাজ করতে যান। হিজল পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে এলাকার মানুষের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, সৌদিতে কাজ করে রোজগার করা। মোটা রোজগারের লক্ষ্যে তাঁরা সৌদিতে পাড়ি দিয়ে থাকেন। বর্তমানে এই এলাকার প্রায় ৪ হাজার যুবক সৌদিতে রয়েছেন।
গত বছরের শেষে ও এবছরের প্রথমেও কমপক্ষে হাজার খানেক যুবক সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে কাজ করতে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ির ছেলেদের সৌদিতে পাঠানোর পর সেখানকার করোনা পরিস্থিতির জেরে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ফলে বিদেশের মাটিতে শ্রম খাটতে গিয়ে ওই যুবকরা যেমন সমস্যায় পড়েছেন, তেমনি গ্রামের বাড়িতে পরিবারের লোকজনও চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এলাকার নতুনগ্রামের এক মহিলা বলেন, আমার বড় ছেলে প্রায় দুই বছর ধরে সৌদিতে রয়েছে। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে এক বিঘে জমি বিক্রি করে ছোট ছেলেকে কাজে পাঠাই। কিন্তু সেখানে পৌঁছে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য সেখানে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই মাইনেও নেই। শুধু খাবার ছাড়া কিছুই মিলছে না ওর।
ওই গ্রামের অপর এক গৃহবধূ বলেন, সুদে টাকা নিয়ে স্বামীকে সৌদি পাঠিয়েছি। কয়েকমাস হল সেখানে পৌঁছে কাজ পাচ্ছেন না। টাকাও পাঠাতে পারেন নি। পাওনাদার বাড়িতে এসে অশান্তি করছেন।
হিজল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুপ্রিয়া খাতুন বলেন, সৌদিতে কাজ করতে গিয়ে মাইনে পাচ্ছেন না এমন সমস্যা প্রচুর আসছে। কিন্তু ভিসা চুক্তির কারণে তাঁদের জন্য কিচ্ছু করা যাচ্ছে না। শ্রমিকরা যে মনিবের কাছে কাজ করতে গিয়েছেন। তাঁরা বাড়িও পাঠাতে চাইছেন না বলে শুনছি। বাড়ি পাঠানোর জন্য মনিব ৩০০ থেকে ৪০০ রিয়াল দাবি করছেন। সেটা দেওয়া সম্ভব নয় অনেকের পক্ষেই।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই সমস্যায় সরকারি হস্তক্ষেপ করা হোক। কোনওভাবে ভিসা চুক্তি বাতিল করে শ্রমিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।