পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিভিন্ন মেলায় পৌঁছে ব্যবসায়ীরা সেখানেই অস্থায়ীভাবে বাঁশ দিয়ে কাঠামো তৈরি করে মেলার ক’দিন ব্যবসা করেন। মেলার ওই বেচাকেনাটুকুই তাঁদের সম্বল। মেলা শেষ হয়ে গেলে ফের অন্য কোনও জায়গায় দোকান খুলে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। এইরকম মেলায় ঘুরে ব্যবসা করার মতো কয়েকশো পরিবার রয়েছে ফুলিয়া এলাকায়। তাঁরা জেলা এবং জেলার বাইরে বিভিন্ন ছোট-বড় মেলাতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন পুজোর প্রাঙ্গণেও মেলার দোকান দিয়ে থাকেন। হরেক মাল থেকে শুরু করে মুখরোচক খাদ্য, চিনামাটির দ্রব্য, ছোটদের খেলনা, ম্যাজিকের সামগ্রী সহ নানা রকমের দোকানের পাশাপাশি নাগরদোলা, বাচ্চাদের বেলুন, ময়ূরপঙ্খী রয়েছে। কিন্তু প্রায় চার মাস ধরে কোথাও কোনওরকম মেলা হয়নি। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এই অবস্থায় এখন তাঁদের এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখছেন না তাঁরা। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ফুলিয়া শাখার পক্ষ থেকে দিন দশেক আগে শান্তিপুর বিডিও অফিসে একটি আবেদন পত্র দেওয়া হয়। তাঁদের মূলত দাবি, এই কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বাজার সংলগ্ন এলাকায় যদি অস্থায়ীভাবে প্রশাসনের তরফে তাঁদের ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে অনেকটা উপকার হতে পারে।
এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স, মাসিক ভাতা দেওয়া সহ একাধিক দাবিও তাঁরা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, যাঁদের স্থায়ী দোকান রয়েছে, তাঁরা ব্যবসা করতে পারছেন। কিন্তু আমাদের স্থায়ী দোকান না থাকার কারণে রোজগার বন্ধ হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানো আমাদের পক্ষে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমরা চাই প্রশাসন আমাদের বিষয়টি একটু বিবেচনা করে দেখুক।