কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
দু’দিন আগে নলহাটি শহরে বিহারের ভাগলপুর ফেরত এক ব্যবসায়ীর দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। এরপরই শনিবার রাতে আক্রান্তের বাড়ি লাগোয়া এলাকাটিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেইমতো প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় একটি ব্যাঙ্ক থেকে রাস্তার দু’ধারের কয়েকটি দোকানের সামনে দড়ি ও এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোন লেখা ফ্লেক্স ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বাঁশ দিয়ে বা কোনওভাবে রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়নি। এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ব্যাঙ্ক সহ কয়েকটি দোকান বন্ধ থাকলেও রাস্তা দিয়ে অবাধে বাইক ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন চলবে। কিন্তু, ব্যাঙ্কের দেওয়াল ঘেঁষা কিছু চা, পান সহ অন্যান্য দোকানও খোলা ছিল। এক চায়ের দোকানে দেখা গেল, দোকানি যুবক নিজেই মাস্ক ছাড়া রয়েছেন। কিন্তু, কন্টেইনমেন্ট জোনে দোকান খোলা কেন? ওই দোকানির কথায়, কী করব, পেট তো চালাতে হবে, তাই দোকান খুলেছি। একইভাবে বাইক, সাইকেল, ভ্যানআরোহী থেকে পথচারী কারও মুখে মাস্ক নেই। বন্ধ দোকানগুলির সামনে স্থানীয়দের জটলা। সচেতন নাগরিকরা বলেন, আক্রান্তের এলাকায় অবাধ যাতায়াত বন্ধে রাস্তায় নেই কোনও ব্যারিকেড। শুধুমাত্র দোকানগুলির সামনে দড়ি টাঙিয়েই দায় সেরেছে প্রশাসন। পুলিসের নজরদারিও নেই। এব্যাপারে নলহাটি থানার পুলিস জানিয়েছে, এটি শহরের প্রধান রাস্তা। তাই ওই রাস্তাটি বন্ধ করা যাবে না বলে বিডিও জানিয়েছেন। শুধুমাত্র দোকানগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে। নলহাটি-১ ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই বলেন, আক্রান্তের এলাকাটি শহরের প্রধান জায়গা। ওই রাস্তাটি বন্ধ করলে ওপার থেকে সমস্ত জিনিসপত্র এপারে আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই রাস্তা খোলা রেখে দোকানগুলি বন্ধ করেছি। ফলে, কেনাকাটার জন্য কেউ দাঁড়াবেন না। রাস্তা দিয়ে সোজা বেরিয়ে গেলে তো কোনও ভয় নেই। তবে, স্থানীয়দের জটলার বিষয়টি দেখার জন্য পুলিসকে বলছি। যদিও নাগরিকরা বলেন, বিকল্প হিসেবে বাইপাস রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা বন্ধ করে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল সুনিশ্চিত করুক প্রশাসন।