কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক(এলআর) তুষার সিংলা বলেন, ট্রাস্ট বা কোনও সংস্থা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জমির মালিকানা পেতে পারে। অতিরিক্ত জমি ভূমিদপ্তরের পক্ষ থেকে খাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নিয়ম মেনেই ওই ট্রাস্টের অতিরিক্ত জমি খাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের আগেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজে ওই জমি ব্যবহার করা হবে। বিশেষ করে ভূমিহীনদের হাতে পাট্টা হিসেবে এই জমি তুলে দেওয়া হবে। নানা ধরনের সরকারি প্রকল্পের কাজ এই জমিতে করা যেতে পারে। ভূমিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন ব্লকে খাস জমি রয়েছে। ভূমিদপ্তরের পক্ষ থেকে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে মামলা হওয়ায় বহু জমি ভূমিদপ্তর খাস করতে পারেনি। জেলায় এরকম ঘটনাও রয়েছে। তবে, গত কয়েক বছরে ভূমিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন ব্লকে যে পরিমাণ জমি খাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, তা ডেবরার তুলনায় কম। একটি ব্লকে একসঙ্গে ৩০০ একর জমি খাস হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ গত এক দশকে হয়েছে বলে দপ্তরের কর্তারা মনে করতে পারছেন না।
এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক ব্লকে খাস জমি থেকে ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়া হয়েছে। এখন খাস জমিতে পাট্টা দেওয়ার সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ডেবরায় বিপুল পরিমাণ জমি খাস হিসেবে ঘোষণা হওয়ায় আগামী দিনে বহু ভূমিহীনের পাট্টা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন।
ব্লক ভূমিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি অধিগ্রহণ করার আগে এই জমির মালিক ছিল কলকাতার একটি ট্রাস্ট। ওই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ডেবরার বিভিন্ন মৌজায় জমি কিনে রাখা ছিল। কয়েক বছর আগে ব্লক ভূমিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিষয়টি নজরে আসে। এরপরই কোন কোন মৌজায় ওই ট্রাস্টের কত জমি রয়েছে, তার খোঁজ শুরু হয়। তাতেই এই বিপুল পরিমাণ জমির হদিশ পাওয়া যায়।
ডেবরা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক গর্গদেব ঘোষ বলেন, ভূমিদপ্তরেই ফাইলটি বহুদিন ধরে পড়েছিল। আমার আগের বিএলএলআরও প্রথম উদ্যোগী হয়ে এই জমির হদিশ শুরু করেন। দেখা যায়, ওই ট্রাস্টের অধীনে এই ব্লকে প্রায় ৩২০ একর জমি রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ট্রাস্ট এককভাবে ১৭ একর পর্যন্ত জমি রাখতে পারে। ফলে, বাকি ৩০৩ একর জমি খাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।