কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রবিবার ছুটির দিনে অযোধ্যা পাহাড়ের বামনী জলপ্রপাত, সৌন্দর্যে ঘেরা আপার ড্যাম, মার্বেল লেক, ময়ূর পাহাড়, পাখি পাহাড়, কয়রাবেড়া ড্যাম, টুরগা ফলসের অপরূপ প্রকৃতিতে ছুটি উপভোগ করলেন অনেকেই। লকডাউনের পর পাহাড়কে ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটন সেভাবে জমে ওঠেনি এখনও। পাহাড়ি এলাকায় বেশিরভাগ হোটেলই এখন বন্ধ। তবে তা বাধা হয়ে ওঠেনি পর্যটকদের কাছে। পর্যটকরা দূর থেকে এসে উঠছেন পুরুলিয়া শহরে। তারপর গাড়ি নিয়ে রওনা দিচ্ছেন পাহাড়ের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আবার অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে এসে ঘুরে চলে যাচ্ছেন। দলবেঁধে মোটরবাইকের সারি পাহাড়ি রাস্তায় ইতিউতি চোখে পড়েছে। যার জেরে অযোধ্যা পাহাড়কে ঘিরে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
হুগলি থেকে সপরিবারে ঘুরতে এসেছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী অনুপ কুমার শীল। বামনী ফলসের কাছে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কাজের চাপে সেভাবে সময় পাই না। তাই এই সুযোগে একবার ঘুরে গেলাম। গাড়ি করে এসেছিলাম, গাড়িতেই ফিরে যাব। আসানসোল থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, লকডাউনের জন্য অনেকদিন বাড়ি থেকে বেরতে পারিনি। রবিবার ছুটি থাকায় মন ভালো করতে এখানে এসেছি।
বর্ধমান থেকে ঘুরতে এসেছেন স্কুল শিক্ষক অনিমেষ পাত্র। তিনি বলেন, করোনার জেরে ঘরে থেকে মনটা বিষাদগ্রস্ত হয়ে উঠছিল। তাই মুক্ত বাতাস নিতে আমরা বন্ধুরা মিলে এখানে এসেছি। খুব সুন্দরভাবে দিনটা কেটেছে। এছাড়াও কলকাতা, ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ারও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই এদিন পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।
পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান সুকান্ত মাহাত এদিন বন্ধুদের নিয়ে দলবেঁধে বাইকে করে পাহাড়ে ঘুরতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এখানে বহুবার এসেছি। তবে টান কমেনি। এদিন মার্বেল লেকে আমরা সবাই মিলে স্নান করলাম। এখন ভিড় কম থাকায় ভালোভাবে সবকিছু উপভোগ করা যাচ্ছে।
পর্যটকরা অনেকদিন পর আবার পাহাড়ে আসতে শুরু করায় মুখে হাসি ফুটেছে এখানকার ব্যবসায়ীদের। অযোধ্যা হিল টপ এলাকায় চা, চপের এক দোকানদার বলেন, এখানে সারাবছরই পর্যটক আসেন। তবে লকডাউন চলাকালীন প্রায় তিন মাস তা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদালাচ্ছে। মানুষজন আসতে শুরু করেছেন। আমাদেরও বিক্রিবাটা হচ্ছে।
হোটেল ব্যবসায়ী বাহাদুর মাহাত বলেন, একসময় এই পাহাড়ের আশেপাশে মাওবাদীদের ডেরা ছিল। তবে সেসব এখন আর নেই। শীতকালে সবচেয়ে বেশি বুকিং থাকলেও সারা বছর এখানে পর্যটকরা আসেন। অন্যসময় আমাদের হোটেলের কোনও ঘর খালি থাকে না। কিন্তু, এখন অবস্থা খারাপ। করোনার ভয়ে অনেকেই হোটেল খুলতে চাইছে না। অনেক কর্মীর কাজ নেই। এখন আবার পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।