কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিশ মেলে। তিনি কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসায় কিছুদিন পর তাঁর ৯ বছরের ভাইঝিও করোনায় আক্রান্ত হন। বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লিতে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে গত ৪ মে। এটি জেলার তৃতীয় ঘটনা ছিল। সুভাষপল্লির আক্রান্ত মহিলা ছিলেন পেশায় নার্স। তিনিও কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন। তারপর ওই মে মাসে এক বছরের শিশু সহ বর্ধমান শহরে আরও তিনজন আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। এক বছরের শিশুর বাবা-মাও পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন।
জুন মাস থেকেই বর্ধমান শহরে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। কারণ, ওই সময় পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় বাড়লেও শহরে সেই ভিড় ছিল না। তাছাড়া, জুন মাস থেকে যাঁরা বর্ধমান শহরে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা সকলেই সাধারণ মানুষ। জুন মাসে শহরে মোট ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জুলাই মাসের ১১ তারিখের মধ্যেই বর্ধমান শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তরা কেউই পরিযায়ী শ্রমিক নন। এই ১০ জনের মধ্যে ১ জুলাই ১ জন, ২ জুলাই ১ জন, ৪ জুলাই ১ জন, ৫ জুলাই ২ জন, ৭ জুলাই ১ জন, ১০ জুলাই ৩ জন এবং ১১ জুলাই ১ জন। এই আক্রান্তদের মধ্যে সবার ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই। যেমন, ২৬ জুন শহরে দুজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার মধ্যে একজন দশম শ্রেণীর ছাত্র রয়েছে। তার কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই। ২৯ জুন একজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরও হিস্ট্রি নেই। একইভাবে ১ জুলাই, ৪ জুলাই সহ যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘সারি’ ইউনিটে (সিভিয়র অ্যাকুইট রেসপিরেটরি ইনফেকশন) এক করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি মেমারি-১ ব্লকের কেষ্টপুরে। কিন্তু, তাঁরও কোনও ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে।
গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত সাতদিনে এই জেলায় ৩৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জুলাই ১ জন, ১০ জুলাই ৫ জন, ৯ জুলাই ৮ জন, ৮ জুলাই ২ জন, ৭ জুলাই ৪ জন, ৬ জুলাই ৯ জন এবং ৫ জুলাই ৪ জন। শনিবার পর্যন্ত মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ জন। তার মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২২ জন।