কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বার বার আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু, অনেকে মাস্ক না পরে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই পূর্ব বর্ধমানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে জেলা প্রশাসনও। গত বুধবার থেকে মাস্ক নিয়ে বর্ধমান শহরে বড় ধরনের অভিযানেও নেমেছে পুলিস। শহরের প্রতিটি ট্রাফিক পয়েন্টে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। মুখে মাস্ক না থাকলেই তাঁদের আটকানো হচ্ছে। জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্ধমান শহর সহ জেলায় লাগাতার এই অভিযান চলবে। জেলা প্রশাসনও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাইরে বের হলে প্রত্যেককে মাস্ক পরতেই হবে। এবার জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতিও মাস্ক নিয়ে অভিযান শুরু করছে। সংগঠনের দাবি, সকলে মিলে উদ্যোগ নিলে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতাবোধ গড়ে উঠবে।
পুলিসের ভয়ে গত দু’দিন এখন অনেকেই রাস্তায় মাস্ক পরে বের হচ্ছেন। কিন্তু, বাজারের ভিতরে এখনও বহু মানুষ মাস্ক না পরে কেনা কাটা করছেন। বিশেষ করে সব্জি বাজার, মাছের বাজারে বেশিরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। বিক্রেতাদের মুখেও মাস্ক নেই। অথচ, সব্জি ও মাছের বাজারেই ভিড় বেশি। এবং ছোট জায়গাতেই এই ধরনের বাজার বসে। যে সকল দোকান গলির ভিতরে সেখানে ক্রেতাদের মাস্ক পরার বালাই নেই। শহরের বহু বড় বড় দোকান বাইরে মাস্কের বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়েছেন। মাস্ক ছাড়া ক্রেতাদের দোকানের ভিতরেও ঢুকতে দিচ্ছেন না। এমনকী, বিক্রেতারাও মাস্ক পরে রয়েছেন। কিন্তু, সেই সংখ্যাটা কম। ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতি সমস্ত দোকানে এই পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।
সংগঠনের তরফে আগামী বুধবার থেকেই বর্ধমান শহরে এই অভিযান শুরু হবে। সেই সঙ্গে বুধবার থেকে ক্রেতা ও পথচারীদের বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে এক একদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার মাস্ক বিলি করা হবে।
বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক বিশ্বেশ্বর চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে এবং ভিড়ের মধ্যে থাকলে মাস্ক পরতেই হবে। সরকার সচেতন করছে। কিন্তু, এখনও সব মানুষ সচেতন হননি। আমরা সমস্ত দোকানদের বলেছি, তাঁদের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে। এমনকী, ক্রেতাদেরও মাস্ক পরে দোকানে যেতে হবে। মাস্ক না থাকলে তাঁরা দোকানে জিনিসপত্র কিনতে পারবেন না। আমরা এ নিয়ে শহরে মাইকে করে প্রচারও চালাব। যাতে কারও সমস্যা না হয়। আমাদের সংগঠনের কোনও দোকানদার যদি মাস্ক না পরেন, তাহলে আমরা সংগঠনের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেব। আমরা চাই, শহরের মানুষ এই উদ্যোগ কার্যকর করতে আমাদের সহযোগিতা করুক। তাহলে আমরা সকলেই সুস্থ থাকতে পারব।