কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ৯ জুলাই রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা থেকে সমস্ত কর্পোরেশন, পুরসভা, নোটিফায়েড এরিয়ার কমিশনার বা চেয়ারপার্সন, প্রশাসকদের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে প্রতিটি রাজ্যে কয়েক বছর আগেই স্ট্রিট ভেন্ডারদের নিয়ে একটি আইন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সামজিক সুরক্ষা, পরিচয়পত্র সহ নানা সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে। তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য সব জায়গাতেই একটি কমিটি গঠন আগে থেকেই থাকার কথা। যদিও সব জায়গায় তা নেই।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হকাররা যাতে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেজন্য ‘প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডার আত্মনির্ভর নিধি’ নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। তাতে নথিভুক্ত হকারদের সামান্য সুদে ১০ হাজার টাকা করে ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার কথা। অন্য কয়েকটি রাজ্যে এই প্রকল্পে হকারদের ঋণদান প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী ব্যাঙ্কঋণ পেতে সংশ্লিষ্ট হকারদের সরকারি পরিচয়পত্র থাকতে হবে বা সরকারি তালিকায় নথিভুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু এরাজ্যে এখনও সব পুরসভার ক্ষেত্রে হকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নেই। বৈধ পরিচয়পত্রও নেই। হকাররা যাতে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্যই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।
কৃষ্ণনগর পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরে থাকা প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের শহরের অধিকাংশ স্ট্রিট ভেন্ডারকেই পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্থায়ী একটা ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। খুব বেশি হলে ৪০ জন এমন স্ট্রিট ভেন্ডার বা হকার আছেন। আমরা তালিকা তৈরি করে যত দ্রুত সম্ভব জমা দেব। রাজ্য সরকার এদের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা দেবে। শান্তিপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান এবং রানাঘাট পুরসভার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এখনও তালিকা তৈরি হয়নি। তবে তালিকা করে আমরাও যত শীঘ্র সম্ভব জমা দেব।