কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, করেনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গাতেই অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে জেলায় সংক্রমণ ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে। নতুন করে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাজ্যজুড়ে কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইমতো বীরভূমে ন’টি কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। তবে, গত বৃহস্পতিবারই সাঁইথিয়ায় চারজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার হদিশ মেলে। সেখানকার আক্রান্তদের ইতিমধ্যে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে একজন সব্জি বিক্রেতা আক্রান্ত হওয়ায় পুরসভার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি কার সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না বলে দাবি পুরসভার। এব্যাপারে বীরভূম জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, আপাতত জেলায় ন’টি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে। সাঁইথিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় সেই এলাকার রিপোর্ট এলে কন্টেইনমেন্ট জোন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ায় ৩, ৭ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বর্তমানে লালারস সংগ্রহ করার কাজ চলছে।
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি এলাকায় লকডাউন শিথিল হওয়াতেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অনেকেই উদাসীন। এর ফলে সচেতন নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। বীরভূম জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলগুলিতে সামাজিক দূরত্ব-বিধি যেমন চোখে পড়েনি, তেমনি রাস্তায় মাস্ক না পরেই অনেককে বের হতেও দেখা যাচ্ছে। তার ফলে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে। তাই পুলিসের তরফে জেলার প্রত্যেকটি থানাতেই অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুলিসের দাবি, বাসিন্দাদের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে সচেতনতা গড়ে তোলাই প্রধান লক্ষ্য। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সিউড়ি, সাঁইথিয়া প্রভৃতি থানা এলাকার রাস্তায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৭জনকে আটক করা হয়। কিছু সময় আটকে রেখে তাঁদের সচেতন করা হয়। কিন্তু, এবার থেকে সচেতনহীন ব্যক্তিদের কাছ থেকে রাস্তাতেই মুচলেকা নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিস।