কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে,আধিকারিকের নিখোঁজকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অপহৃত হলে তিনি কীভাবে একা বেসরকারি বাসে ফিরছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি যদি পারিবারিক বা ব্যবসায়িক কারণে বাইরে গিয়ে থাকেন, তাহলে কে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করল? পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নাকি জানিয়েছেন, তাঁর কিছুই মনে পড়ছে না। তাই ওই আধিকারিকের খোঁজ মিললেও তাঁর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে রহস্যের জট কাটছে না।
পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে সিটিসেন্টার এলাকা থেকে একটি কারখানার উচ্চপদস্থ ওই আধিকারিক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুলিসে ঘুম ছুটে গিয়েছিল। মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারের কাছে ফোন আসায় চিন্তা আরও বেড়েছিল। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে এই ঘটনা ঘটায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। পুলিস মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে জানতে পারে, মুক্তিপণের দাবিতে ফোনটি ধানবাদ এলাকা থেকে এসেছিল। তারপর তিনদিন কেটে গেলেও নতুন কোনও ফোন আসেনি বা তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিসের দাবি, বুধবার রাতে তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, বিহার থেকে কলকাতাগামী একটি বাসে করে ফিরছেন রাজেশবাবু। সেই সূত্র ধরেই ডুবুরডিহি চেকপোস্টে পুলিস চেকিং শুরু করে। রাত ১টা নাগাদ একটি বাস থেকে রাজেশবাবুকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে প্রথমে দুর্গাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে অফিসার বাড়ি ফিরলেও তাঁর নিখোঁজ হওয়া ঘিরে জল্পনা থামছে না। প্রশ্ন উঠছে, মুক্তিপণ দেওয়ার পরেই কি দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেসরকারি বাস তুলে দিয়েছিল। তাই যদি হয়, তাহলে এখান থেকে কীভাবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মুক্তিপণ চেয়ে একবারই ফোন এসেছিল, নাকি একাধিকবার যোগাযোগ করেছিল? কারণ মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়ে থাকলে দুষ্কৃতীরা নিশ্চিতভাবে একাধিকবার যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু, তাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে দ্বিতীয়বার ফোনের কথা পুলিসকে পরিবারের লোকজন জানাল না কেন। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন পুলিস কর্তারাও।