রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিকে যেসব ব্লক ও পুরসভায় এখনও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি, তাঁদের অবিলম্বে সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে কোটা থেকে টাকা তুলে নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই ক্ষতিপূরণ পাবেন। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকস্তরে টাস্ক ফোর্সে বিডিও, ব্লক বিপর্যয় ব্যবস্থাপন আধিকারিক এবং পঞ্চায়েত স্তরের নোডাল অফিসার থাকবেন। এর বাইরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে ওই কাজে যুক্ত হওয়ার আবেদন করা যেতে পারে বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্সের কাজ কী হবে, সেটা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলাশাসক। তাতে বলা হয়েছে, চার সদস্যের কমিটি ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ভিজিট করে তালিকা চূড়ান্ত করছে। সেই তালিকা নিয়ে অভিযোগ এলে ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্স কমিটিকে পুনরায় তদন্ত করতে হবে। এমনকী, অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার পর অভিযোগ এলেও ফের তা খতিয়ে দেখতে হবে।
জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন করে নোডাল অফিসার আছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের নোডাল অফিসার কিংবা ব্লক এক্সটেনশন অফিসারকে নিয়েই ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্স ‘রি-এনকয়ারি’ করবে।
উম-পুনে ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি রুখতে ৭জুলাই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছেন। প্রথমত, ১৬টি ব্লক ও দু’টি পুরসভায় একজন করে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা ব্লকে ও পুরসভায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ভিজিট করবেন। তাতে দুর্নীতি আটকানো যাবে বলে জেলা প্রশাসনের অফিসারদের দাবি।
দ্বিতীয়ত, ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে টাকা ফেরানো এবং রি-এনকয়ারির জন্য তৈরি করা হল ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্স। টাকা ফেরানোর সময়সীমা বেঁধে দু’দিন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকে দ্রুত গতিতে টাকা ফেরানো চলছে। সেই কাজকেই আরও ত্বরান্বিত করার দায়িত্ব দেওয়া হল ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্সকে।