কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রাজ্যে বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল। তাই গত মঙ্গলবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউন করার ব্যাপারে নির্দেশ দেন। সেইমতো বীরভূমে ন’টি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যের নির্দেশমতো জেলায় এই ন’টি স্পটকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিস ও বিডিওদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অংশকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তাছাড়া রামপুরহাট-১ ব্লকের দখলবাটি, কাষ্ঠগড়া এই দু’টি পঞ্চায়েতের অধীন দু’টি গ্রামের একাংশে লকডাউন থাকবে। তাছাড়া মুরারই-২ ব্লকের আমডোল পঞ্চায়েতের একটি গ্রামের একাংশকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। নলহাটি-২ ব্লকের বারা-১ পঞ্চায়েতের একটি গ্রামের একাংশতেও থাকছে লকডাউন। এছাড়া বোলপুর মহকুমার লাভপুরের হাতিয়া, নানুরের উচকরণ, নওনগর-কোড্ডা ও জলুন্দি পঞ্চায়েতের একাংশকেও কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় ধরা হয়েছে। এই পঞ্চায়েতগুলির একটি সংসদের একাংশকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ধরা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব এলাকায় গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেগুলিকেই কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যে বাড়ির সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন সেখান থেকে আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের আওতায় থাকবে। তবে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন ও পুলিস যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে কন্টেইনমেন্ট জোনের রিপোর্ট জেলা প্রশাসনকে পাঠিয়েছে। সেইমতো জেলা প্রশাসন তা ঘোষণা করেছে। এদিন বিকেল থেকেই সংশ্লিষ্ট কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ব্যানারও দেওয়া হয়েছে। পুলিসের তরফে ব্যারিকেডও করা হয়েছে।
প্রশাসনের দাবি, সংশ্লিষ্ট কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে কোনও ধরনের যানবাহন চলাচল করবে না। তাছাড়া দোকানপাটও বন্ধ থাকবে। অযথা সেখানকার বাসিন্দারা যাতায়াত করতে পারবেন না। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকেই ওই লকডাউন কার্যকর করা হবে।
প্রসঙ্গত, জেলায় গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের গতি কমেছে। তাই উদ্বেগও কমেছে। তবে, সিউড়ি মহকুমায় কোনও কন্টেইনমেন্ট জোন হয়নি। তার ফলে বাসিন্দারা স্বস্তি পেয়েছেন। পাশাপাশি কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি অধিকাংশ গ্রামাঞ্চল হওয়ায় প্রশাসনেও স্বস্তি ফিরেছে। তাই লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী ওইসব এলাকায় কোনও সরকারি বা বেসরকারি অফিস নেই। এমনিতে যে ধরনের বাজার রয়েছে তা বন্ধই থাকবে। তবে, সমস্ত পরিস্থিতি স্বাস্থ্যদপ্তর খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবে।