বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, প্রায় ছ’মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রাজেশ জৈন নামে নিখোঁজ কারখানার আধিকারিক। এই তথ্য নিখোঁজ রহস্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। তাই অপহরণের পাশাপাশি নতুন এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিসকে।
ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় টিম পাঠিয়েছি। অপহরণের বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কোনও মানসিক চাপের জন্য তিনি আত্মগোপন করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে।
দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নিখোঁজ রহস্য ক্রমশ জটিল নিচ্ছে। টাওয়ার লোকেশন, সিসি ক্যামেরা সহ নানা প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিসের সাতটি টিম বিহার, ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি কলকাতা সহ নানা জায়গায় গিয়েছে। তাতেও রাজেশবাবুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দু’দিন ধরে নানা জায়গায় অভিযানও চালানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পুলিসের হাতে তেমন কিছু তথ্য আসেনি।
এদিকে, পুলিসের দাবি, বিভিন্ন আত্মীয় পরিজন, বন্ধু, কোম্পানির কর্মী-আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ব্যক্তির মানসিক অবসাদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। কিন্তু, কেন এই মানসিক চাপ তার কারণ অবশ্য জানতে পারেনি পুলিস। এই চাপের কারণ পারিবারিক বা ব্যবাসায়িক দুটোই হতে পারে অনুমান পুলিসের। একটি সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিককালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তিও বেড়েছিল। তাই যত দিন যাচ্ছে, এই নিখোঁজ রহস্যের জট আরও গভীর হচ্ছে। বিভিন্ন সম্ভাবনার বিষয়ও উঠে আসছে।