কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচামি কয়লাক্ষেত্র গড়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে বলে ঘোষণা করেন। তার কিছু সময় পর পরই করোনা আবহের আগে মুখ্য সচিব সহ অন্যান্য কর্তাদের বীরভূমে আসার কথা ছিল। সেইমতো জেলা পুলিস ও প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। কিন্তু, শেষমেষ সেই সফর বাতিল হয়। তাই আজ, বৃহস্পতিবার ফের তাঁদের জেলায় আসার খবর পাওয়া গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচামি কয়লা প্রকল্পের গতি বাড়াতে রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কমিশনার ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিবি সেলিমের আসার কথা রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁরা হেলিকপ্টারে আসবেন। তাঁদের হেলিকপ্টার সিউড়ির চাঁদমারি মাঠে নামবে। সেখান থেকে গাড়িতে করে তাঁরা দেউচা যাবেন। দেউচা স্কুলে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেই বৈঠকে মুখ্য সচিব ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলবেন। প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাসিন্দারাও তাঁদের দাবির কথা জানাতে পারেন। বৈঠক শেষে মুখ্য সচিব সিউড়িতে সার্কিট হাউসে ফিরবেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজন সেরে ফের হেলিকপ্টারে তাঁদের কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্য সচিবের সফর ঘিরে এদিন সিউড়িতে জেলা পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা বৈঠক করেন। পাশাপাশি হেলিপ্যাড তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহম্মদবাজারের দেউচা-পাঁচামিতে উন্নতমানের কয়লা প্রকল্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে কয়লাশিল্প গড়ার ব্যাপারে প্রশাসনিক কাজকর্ম চলছিল। কিন্তু, ফিল্ডে সেভাবে কোনও কাজকর্ম চোখে পড়েনি বাসিন্দাদের বলে দাবি। তবে, করোনা পরিস্থিতির আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেউচা-পাঁচামি কয়লাশিল্প নিয়ে একাধিকবার ঘোষণা করেন। এখান থেকে কয়লা উত্তোলনে কেন্দ্র সরকার ছাড়পত্র দিয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। তারপর প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বীরভূম জেলা পুলিস-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে খোঁজ-খবরও নেন। এবার রাজ্যের মুখ্য সচিব প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেবেন বলে প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন। এই শিল্প হলে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়া গোটা রাজ্যেরই অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হতে পারে।
প্রসঙ্গত, দেউচা-পাঁচামি কয়লা প্রকল্প ছ’টি মৌজার উপরে গড়ে ওঠার কথা রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় ৩৫টি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। তাছাড়া বাম আমল থেকে সেখানে পাথর শিল্পাঞ্চলও রয়েছে। তবে, পাথরশিল্প হলেও ওই এলাকার আদিবাসীদের সেভাবে কোনও উন্নতি হয়নি। তাই তাঁরা বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন। আজ, মুখ্য সচিব সহ অন্যান্য পদস্থ কর্তারা এলে সেখানকার বাসিন্দারা নিজেদের দাবিও জানাতে পারেন।