বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরুলিয়া শহরে যত্রতত্র ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। শুয়োরের দল আবজর্নার স্তূপ থেকে খাবার খুঁজতে খুঁজতে ছড়িয়ে দিচ্ছে নোংরা। জাতীয় সড়ক ৬০-এ, জেলা স্কুল মোড়ে যাওয়ার রাস্তা, সাহেব বাঁধের পাশের রাস্তার ধারে এই দৃশ্য দেখা যায় প্রতিদিন।
পুরুলিয়া পুরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সেফডাঙার বাসিন্দা বৃদ্ধা শাকু বাউরি বললেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে শুয়োরের অত্যাচার সহ্য করছি। শহর উন্নত হচ্ছে। কিন্তু, এর কোনও সমাধান হচ্ছে না। দল বেঁধে শুয়োর ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকজন টাকা রোজগারের জন্য শুয়োর পালন করে। নামেই পালন করা, আসলে বাইরের খাবার, নোংরা খেয়ে সেগুলি বড় হয়। সেই শুয়োর বিক্রি করে লাভ করে তারা। কিন্তু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার লোকজনকে। একই সমস্যার শিকার পুরসভার ২, ৫, ৮, ১০, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শুয়োরের অত্যাচারে সাহেব বাঁধের উল্টো দিকের জমিগুলিতে চাষ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতদিন শুয়োরের দিকে কেউ নজর দেয়নি। কিন্তু, করোনার জন্য প্রায় সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
যদিও পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (ভাইরোলজিস্ট) সিদ্ধার্থ জোয়ারদার অবশ্য জানান, পরীক্ষামূলকভাবে দেখা গিয়েছে শুয়োর করোনা ভাইরাস বহন করছে না। তবে শুয়োর আবর্জনা ছড়িয়ে দেওয়ায় তা থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তায় চলাফেরা করার সময় নোংরা মানুষের পায়ে লেগে যায়। তা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই পারে।
তিনি বলেন, শুয়োরের জন্য উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর, ঝাড়খণ্ড, পুরুলিয়ার অনেকে জাপানি এনসেফেলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য রোগও হয়। তাই এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগী হওয়া উচিত।
পুরুলিয়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান বলেন, এটা ঠিক, শুয়োরের জন্য নোংরার উপর দিয়েই মানুষকে চলাফেরা করতে হচ্ছে। সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও উপায় বের করতে পারিনি। শুয়োর ধরা এবং মালিকের খোঁজ পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। এবিষয়ে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, আমরা দেখছি।