কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, উম-পুন সাইক্লোনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য প্রথমে ১০০কোটি এবং পরে আরও ৯৮কোটি টাকা পায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। দু’দফায় তমলুক পুরসভার জন্য জেলা প্রশাসন বরাদ্দ করে এক কোটি টাকা। তাতে ৫০০জনের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন ব্লকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হলেও পুরসভা এলাকায় সেভাবে হেলদোল ছিল না। এরই মধ্যে ক্ষতিপূরণ নিয়ে নানা অভিযোগে জেরবার বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন। কোথাও ভুল তথ্য দিয়ে পাকাবাড়ির মালিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। আবার কোথাও বাড়ি ভেঙে পড়ার পরও কানাকড়ি মিলছে না।
উম-পুনের ক্ষতিপূরণ নিয়ে জেলাজুড়ে হইচই পড়তেই তমলুক পুরসভা এলাকায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে কাউকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, শহরে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত একটিও বাড়ি নেই। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৩১৯টি বাড়ি রয়েছে। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ টাকা কীভাবে আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া যাবে, তানিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারণ, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০হাজার টাকা বরাদ্দ। আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য পাঁচ হাজার টাকা। তমলুক পুরসভার ৫০০সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তের জন্য এসেছে এক কোটি টাকা। এখন সেই টাকা থেকে আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এখনও পর্যন্ত পুর কর্তৃপক্ষ ১৩১৯জনের তালিকা সংগ্রহ করেছে। প্রত্যেকেই আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। শহরে কোনও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত নেই বলে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য পুর কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিল প্রশাসন।
তমলুক পুরবোর্ডের প্রশাসক বলেন, আমরা ১৩১৯জন আংশিক ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা সংগ্রহ করেছি। কিন্তু, সেই তালিকা অসম্পূর্ণ। বেশিরভাগ আবেদনকারী নিজের পরিবর্তে পরিবারের অন্যজনের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছেন। আবেদনকারীর কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে তালিকা চূড়ান্ত করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন শুক্রবার যাতে এক হাজার জনের অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে পারেন, সেই টার্গেট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।